করোনা ও উপসর্গ নিয়ে কুষ্টিয়ায় ১৭ জন, ঝিনাইদহে ১১ ও ময়মনসিংহে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বুধবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
কুষ্টিয়া
জেলায় করোনায় ১১ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সিভিল সার্জন আনোয়ারুল ইসলাম জানান, করোনা পজিটিভদের মধ্যে কুষ্টিয়া হাসপাতালে ১০ জন, কুমারখালীতে বাড়িতে ১ জনের মৃত্যু হয়।
৮০১টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে এ জেলায় ২৩৪ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।
জুলাই মাসের প্রথম ৭ দিনে এখানে ১ হাজার ৭০৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এই ৭ দিনে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কোভিড ডেডিকেটেড কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এখন করোনা পজিটিভ ১৮৭ ও উপসর্গ নিয়ে ৮৭ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঝিনাইদহ
করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন করে করোনায় শনাক্ত হয়েছেন ১৫৬ জন। এক দিনে সুস্থ হয়েছেন ২৯ জন।
সিভিল সার্জন সেলিনা বেগম জানান, এক দিনে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে করোনা পজেটিভ নিয়ে ৫ জন ও উপসর্গ নিয়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে শৈলকুপায় ১ ও হরিণাকুন্ডুতে ১ জন মারা গেছেন।
ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া ল্যাবে ৪৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এখানে শনাক্তের হার ৩৪ দশমিক ১৩ ভাগ। এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত ৫ হাজার ১৭৬ জন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হারুন অর রশিদ জানান, সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিটে বর্তমানে ১১৫ জন রোগী চিকিৎসাধীন।
ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৩ জন করোনা শনাক্ত হয়ে ও বাকিদের মৃত্যু হয় উপসর্গ নিয়ে।
হাসপাতালের করোনা ইউনিটের ফোকাল পারসন মহিউদ্দিন খান মুন জানান, বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৩৪১ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৫১ জন। আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৯ জন।
এ ছাড়া এক দিনে ৩০ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩১ জন টেলিমেডিসিন সেবা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, ৫ জন টিকাবিষয়ক পরামর্শ নিয়েছেন ও ১ জন করোনা টেস্টবিষয়ক পরামর্শ নিয়েছেন।
ওয়ান স্টপ ফ্লু কর্নারে মোট রোগী ২৭৩ জন। এদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১৭ জন। এখান থেকে ৪ জনকে করোনা ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ১৩ জনকে হোম কেয়ার চিকিৎসাসেবা দেয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৭২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।