চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আইসিইউ বেড দেয়ার কথা থাকলেও পাঠানো হয়েছে শুধু বেড, জাজিম ও সাইড টেবিল।
এ ঘটনায় বিরক্ত হয়ে ফেসবুকে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী দীপুমনি।
নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে স্ট্যাটাস দিয়ে সোমবার রাতে প্রতিক্রিয়া জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘চাঁদপুরে আইসিইউ স্থাপনের চেষ্টা করছি অনেক দিন থেকে। কিছুদিন আগে যখন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে চারটি ‘আইসিইউ বেড’ চাঁদপুর সদর হাসপাতালের জন্য পাওয়া গেছে শুনলাম, তখন বিপুল উৎসাহে আইসিইউ স্থাপনের জন্য স্থান ঠিক করে সব ব্যবস্থা করে ফেলতে শুরু করলাম সবাই মিলে।
‘যখন বাক্স খুলে শুধু চারটি বেড, চারটি জাজিম/ম্যাট্রেস ও চারটি সাইড ক্যাবিনেট পাওয়া গেল, তখন সবাই একটু অবাক হলাম। কারণ ভেন্টিলেটর, মনিটর, এবিজি মেশিনসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ছাড়া কোনো আইসিইউ হতে পারে না।’
এ বিষয়ে তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তারা প্রয়োজনীয় সবকিছু পাঠাবে বলে ওই স্ট্যাটাসে জানান দীপুমনি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুল করিম নিউজবাংলাকে জানান, মন্ত্রণালয় থেকে আইসিইউ বেড পাঠানোর কথা তিনটি। এখন শুধু বেড, জাজিম ও সাইড টেবিল এসেছে। প্রয়োজনীয় বাকি সামগ্রী পরবর্তী সময়ে পাঠানো হবে।
এ ছাড়া লোকবলের বিষয়ে তিনি জানান, সারা দেশেই করোনা রোগীদের জন্য আইসিইউ পরিচালনার যথেষ্ট লোকবলের অভাব রয়েছে। লোক নিয়োগ দেয়া হলেই আইসিইউ বেডগুলো চালু হবে।
দীপুমনি তার স্ট্যাটাসে আরও জানান, হাসপাতালের সেন্ট্রাল লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ ৯০ ভাগ শেষ হয়েছে। বাকি ১০ ভাগের কাজ শেষ হলেই এই প্ল্যান্ট থেকে রোগীদের সেবা দেয়া শুরু হবে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিবুল করিম নিউজবাংলাকে জানান, দুই মাস আগে ইউনিসেফের অর্থায়নে স্পেক্ট্রা অক্সিজেন ইন্টারন্যাশনাল এই লিকুইড অক্সিজেন প্ল্যান্টের কাজ শুরু করে।
তিনি বলেন, ‘প্ল্যান্টের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে আছে। আর মাত্র ১০ পার্সেন্টের মতো বাকি। আশা করি, ঈদুল আজহার আগেই চালু করা সম্ভব হবে।’