করোনাভাইরাসের উচ্চ সংক্রমণ ঠেকানো সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, এ কারণেই শাটডাউনের মেয়াদ এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে।
শাটডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন জারির পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী।
ফরহাদ বলেন, ‘দেশজুড়ে যে পরিস্থিতি আছে, পরিস্থিতি বিবেচনা করে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির পরামর্শ অনুযায়ী এই সংক্রমণ রোধ করার জন্য আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ আরোপ করা হলো।’
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করাকেই সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেভাবে উচ্চ হারে বেড়ে যাচ্ছিল, সেটা কমানোর এটাই (শাটডাউন) একমাত্র উপায়।’
আর কিছুদিন পরই ঈদুল আজহা। এমন বাস্তবতায় সরকারের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় ফরহাদ হোসেনের কাছে।
তিনি বলেন, ‘কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করার পরও প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি এটা (সংক্রমণ ও মৃত্যু) ওঠানামা করছে আশঙ্কাজনকভাবে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে ১২ অথবা ১৩ জুলাই আমরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত দিতে পারব।
‘গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে এটি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনা, সেটি আমাদের লক্ষ্য।’
রোজার ঈদে হুড়োহুড়ি করে মানুষের বাড়ি ফেরাকেও সংক্রমণ বাড়ার কারণ হিসেবে দেখছে সরকার।
এ নিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘গতবার ঈদে মানুষ যেভাবে বাড়ি গেল, তাদের বোঝানো গেল না। আপনি বলতে পারেন, তার একটা ফল আমরা পাচ্ছি। ফলে এবারও আমাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।
‘সরকার এখনও পরিকল্পনা করছে। সে বিষয়ে আমাদের সিদ্ধান্ত আসবে।’
সামনের ঈদেও কী মানুষের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে কি না জানতে চাইলে বিষয়টি স্পষ্ট করেননি তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘যেভাবে (করোনাভাইরাস) ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এটা আমাদের কমাতে হবে।’
সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহকে গুরুত্বপূর্ণ মানছে সরকার।
এ নিয়ে ফরহাদ বলেন, ‘সে জন্য আমরা এখান থেকে ১ থেকে ৭, ৭ থেকে ১৪—এ পর্যন্ত এটি আমরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছি। আমরা বিষয়গুলো বুঝব, আমাদের জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির অবজারভেশন থাকবে, তখন আমরা পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নিতে পারব।’
যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে সবার জন্য ভালো হবে, সেভাবেই নেয়া হবে বলে জানালেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি জানান, সংক্রমণ যাতে আরও বেড়ে না যায়, সেদিকটায় বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যে সুফলটা পাব সেটা যাতে ব্যাহত না হয় সেই চেষ্টাটা আমাদের করতে হবে। আমাদের খুব নিয়ন্ত্রিত থাকতে হবে। সরকার পরিকল্পনা করছে, ভাবছে, পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। অবস্থা বুঝে আমরা জানাতে পারব।’
১৪ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ মেনে চলতে সবার সহযোগিতাও চাইলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।