বয়স ৩৫ বছর হলেই করোনাভাইরাসের টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করা যাবে।
কিছুদিনের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বর্তমানে ৪০ বছরের বেশি বয়স হলে টিকা নেয়ার জন্য নিবন্ধন করা যায়। টিকা নিবন্ধন শুরুর দিকে ৫৫ বছর বয়সীরা নিবন্ধন করার অনুমোদন পেয়েছিলেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘গণমানুষের জন্য বড় পরিসরে টিকা কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে। এ জন্য গণমানুষের জন্য নিবন্ধন দ্রুত সময়ের মধ্যে খুলে দেয়া হবে।
‘৩৫ বছরের বেশি বয়সীরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা সংকটের কারণ দেখিয়ে গত ৫ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ কোম্পানি ফাইজার ও চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির ডোজ হাতে আসার পর সরকার তিন শ্রেণির জন্য নিবন্ধন অ্যাপ খুলেছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রবাসী ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীরা এরই মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ পেয়েছে। বাকিদের নিবন্ধনের সিদ্ধান্ত কিছু দিনের মধ্যে আসবে।
আসন্ন ঈদুল আজহায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসবে। এর বাইরে হাট বসতে দেওয়া হবে না। এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে সরকার। তবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সুপারিশ করছে কোরবানির হাট ফিজিক্যাল না করে অনলাইনে করতে।
এ বিষয়ে আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘গত বছর কোরবানির পশুর হাট ফিজিক্যাল হওয়ার কারণে করোনা সংক্রমণে বেড়ে যায়। সেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে অনেক সময় লাগে, যে কারণে এবার কোরবানির হাট ফিজিক্যাল না করে অনলাইনে করার সুপারিশ করেছি।’
তিনি আর বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর বিধিনিষেধ দুই সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করেছিলাম। সরকার এক সপ্তাহের কঠোর বিধিনিষেধ দিয়েছে।
‘এই কঠোর বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে।’