করোনা ও উপসর্গ নিয়ে এক দিনে কুষ্টিয়ায় ১৯, খুলনায় ১৫ ও চুয়াডাঙ্গায় ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার সকাল ৮টা থেকে রোববার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন।
কুষ্টিয়া
জেলায় এক দিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই জেলায় এটিই করোনায় মৃত্যুর সর্বোচ্চ রেকর্ড।
কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম এ বশির জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ১৩ জন। বাকি ৬ জন মারা গেছেন করোনার উপসর্গ নিয়ে।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার জানান, হাসপাতালে রোগীরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় আসছেন। রোগীর চাপ বাড়ায় সংকট হচ্ছে অক্সিজেনের। এসব কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে।
সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, শনিবার রাতে ৬০৪ নমুনা পরীক্ষা করে ১৯৩ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ।
খুলনা
জেলায় তিনটি হাসপাতালে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৭ জন, গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে ৬ জন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ জন।
খুলনা করোনা হাসপাতালের ফোকাল পার্সন সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, এ হাসপাতালে করোনায় মৃত ৭ জনের মধ্যে ৬ জনেরই করোনা শনাক্ত ছিল। এর মধ্যে খুলনার ৪ ও বাগেরহাটের ২ জন।
এই হাসপাতালে রোববার সকাল পর্যন্ত ১৯৭ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেড জোনে ১০২ জন, ইয়ালো জোনে ৫৫ জন, এইচডিইউতে ২০ জন ও আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন।
এখানে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৪০ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫জন।
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র কাজী আবু রাশেদ জানান, এ হাসপাতালে করোনায় মারা যাওয়া ২ জনের বাড়ি খুলনায়।
এখানে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১৫ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন। বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন মোট ৬৫ জন।
গাজী মেডিক্যালে স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, করোনা ইউনিটে মৃত ৬ জনের মধ্যে খুলনার ৩, বাগেরহাটে ২ ও নড়াইলের ১ জন রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ১১৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে আইসিইউতে ৬ ও এইচডিইউতে ৮ জন চিকিৎসাধীন।
নতুন রোগী ভর্তি হয়েছে ২৩ জন; সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে ২২ জন।
আবু নাসের হাসপাতালের মুখপাত্র প্রকাশ দেব নাথ বলেন, হাসপাতালে ২৪ জন রোগী ভর্তি। এর মধ্যে পুরুষ ১১ ও নারী ৭। এছাড়া আইসিইউতে রয়েছে ৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা
জেলা সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান জানিয়েছেন, রোববার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালে করোনা পজিটিভ হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, শনিবার জেলায় ৪১৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার প্রায় ৩৪ শতাংশ। এক দিনে ৩৬ জন সুস্থ হয়েছে।
জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫৩ জন। এ নিয়ে জেলায় মোট সুস্থ হয়েছে ২ হাজার ৩৪২ জন। মোট মৃত্যু ১১৩।
জেলা সিভিল সার্জন মারুফ জানান, জেলায় বর্তমানে করোনা শনাক্ত হয়ে হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন ৭৫ জন। বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ১২০ জন।