বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিএসএমএমইউ: শ্রবণশক্তি ফিরে পেলেন ৫৪৭ জন

  •    
  • ৩ জুলাই, ২০২১ ১৮:৪৮

শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরি। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন। বিএসএমএমইউতে এ চিকিৎসা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিনামূল্যের চিকিৎসায় এ পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। যাদের ৯৭ শতাংশই শিশু।

শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে স্কুলছাত্র অপূর্ব চক্রবর্তীকে ব্যয়বহুল সর্বাধুনিক প্রযুক্তির কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সাউন্ড প্রফেসর বিনামূল্যে প্রদানকালে এ সব তথ্য জানিয়েছেন কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কর্মসূচির পরিচালক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাক কান গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসনাত জোয়ারদার।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ পর্যন্ত ৫৪৭ জন শ্রবণ প্রতিবন্ধীর কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি সম্পন্ন করা হয়েছে, যাদের মধ্যে ৯৭ শতাংশই শিশু।

‘শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট অধিকমাত্রায় কার্যকরি। তবে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশু ছাড়াও ক্ষেত্র বিশেষে কিশোর ও তরুণ বয়সের শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের জন্যও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট কার্যকরী হতে পারে যা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে নির্ধারণ করে থাকেন।’

এই কর্মসূচি পরির্দশণ শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘সময় মতো শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করলে ওই সব শিশুরা কানে শুনতে পারে, কথা বলতে পারে, এমনকি তারা সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারে। তাই কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট বিষয়ে শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে আরও সচেতনা বৃদ্ধি করতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে।’

অপূর্ব চক্রবর্তীকে ২০১৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট ডিভাইস প্রদান ও কক্লিয়ার ইমপ্ল্যান্ট সার্জারি করা হয়। বর্তমানে সে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবনযাপন করছে এবং স্কুলে লেখাপড়া করছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদ হোসেন, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিন্ডিকেট মেম্বার ও অটোল্যারিংগোলজি হেড এন্ড নেক সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. এ এইচ এম জহুরুল হক সাচ্চু, সহযোগী অধ্যাপক ডা. কান লাল সাহাসহ আরও অনেকে।

এ বিভাগের আরো খবর