করোনায় আক্রান্ত হয়ে এবং উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় খুলনা ও ময়মনসিংহে ২০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে খুলনার তিন হাসপাতালে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে।
শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা করোনা হাসপাতালে ৬ জন, গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে ৪ জন ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ জন মারা গেছেন।খুলনা করোনা হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (ফোকাল পার্সন) সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত রোগীদের মধ্যে খুলনার আছেন ৪ জন, সাতক্ষীরা ও যশোরের আছেন ১ জন করে।
হাসপাতালে মোট রোগী ভর্তি রয়েছেন ২১৩। যার মধ্যে আইসিইউতে ২০ জন।
খুলনা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র কাজী আবু রাশেদ জানান, সেখানে মৃত করোনা রোগীর বাড়ি যশোরে।
২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন ভর্তি হয়েছেন ১২ জন। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৭ জন। এ ছাড়া হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ৭০ জন।
গাজী মেডিক্যালের মালিক গাজী মিজানুর রহমান জানান, ২৪ ঘণ্টায় এই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন খুলনার ৩ জন ও বাগেরহাটের ১ জন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ১২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৯ জন এবং এইচডিইউতে ১০ জন চিকিৎসাধীন। ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১২ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরটি পিসিআর মেশিনে ২৪ ঘণ্টায় ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর মধ্যে খুলনায় ১০ জন, বাগেরহাটে ১৯ জন এবং সাতক্ষীরা, নড়াইল ও পিরোজপুরের ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে, ময়মনসিংহ মেডিক্যালের করোনা ইউনিটে ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৯ জনের মধ্যে ২ জন ছিলেন করোনা পজিটিভ। অন্যরা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি ছিলেন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ও করোনা ইউনিটের আবাসিক কর্মকর্তা (ফোকাল পার্সন) মহিউদ্দিন খান মুন শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘করোনা ইউনিটের ২১০টি শয্যায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৬০ জন। এর মধ্যে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন।’
সিভিল সার্জন নজরুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬৬টি নমুনা পরীক্ষা করে ৭২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। জেলায় আক্রান্তের হার ১৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ।