আগামী শুক্রবার ও শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাঠানো ২৫ লাখ টিকা দেশে এসে পৌঁছাবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বুধবার বিকালে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের ২ ও ৩ তারিখ দুটি আলাদা ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫ লাখ কোভ্যাক্সের টিকা আসছে।
‘এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন থেকে ওই টিকা বাংলাদেশের পথে রওনা হয়েছে।’
চীনা সিনোফার্মা থেকে সরকারের কেনা টিকার প্রথম চালানের আরও ২০ লাখ ডোজও খুব দ্রুত চলে আসবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
মোমেন বলেন, ‘টিকা নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা কেটে গেছে।’
চীন থেকে কত টাকায় টিকা কেনার চুক্তি হয়েছে জানতে চাইলে মোমেন বলেন, ‘সেটা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে।’
রাশিয়া থেকে টিকা আনার বিষয়ে ড. মোমেন জানান, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। টিকা আনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
সারা দেশে নতুন করে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে টিকাদান কার্যক্রম। চীনের সিনোফার্মের দেয়া টিকা দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
চীনের সিনোফার্মের তৈরি উপহারের ১১ লাখ টিকা দিয়ে শুরু হচ্ছে টিকাদান। এরই মধ্যে চীন থেকে টিকা কেনার চুক্তি শেষ হয়েছে। আগামী সপ্তাহে চীনের সিনোফার্মের টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে।
তার আগে উপহারের টিকায় টিকাদান কর্মসূচি শুরু করছে সরকার।
পাশাপাশি বাংলাদেশকে ফাইজারের এক লাখ টিকা উপহার দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। সেই টিকার প্রয়োগও শুরু করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এই টিকা মধ্যপ্রাচ্যে কাজের জন্য যাওয়া কর্মীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।
তার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে গণটিকা কার্যক্রম শুরু করেছিল সরকার। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে কেনা ৩ কোটি ৪০ লাখ ডোজের মধ্যে বাংলাদেশ পায় মাত্র ৭০ লাখ টিকা।
এর পাশাপাশি ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহার দেয় ৩৩ লাখ টিকা। যা দিয়ে টিকা কার্যক্রম শুরু করলেও সিরাম বাংলাদেশকে আর টিকা না দিলে টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকেই প্রথম ডোজের পর আর দ্বিতীয় ডোজের টিকা পাননি। তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে সিনোফার্মের টিকাদান শুরু হয়েছে।