খুলনা ও চুয়াডাঙ্গায় এক দিনে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনায় ১৩ জন ও চুয়াডাঙ্গায় মারা গেছেন ১০ জন।
মঙ্গলবার সকাল থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার এই হিসাব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খুলনা
খুলনার তিনটি হাসপাতালে এক দিনে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ২, গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে ৮ ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিট ৩ জনের মৃত্যু হয়।
ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৮ জন।
এ হাসপাতালে বুধবার সকাল পর্যন্ত ২০১ জন রোগী ভর্তি ছিল। যার মধ্যে রেড জোনে ১১৩ জন, ইয়ালো জোনে ৪৮, এইচডিইউতে ২০ জন ও আইসিইউতে ২০ জন চিকিৎসাধীন।
খুলনা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় এ হাসপাতালে করোনায় মৃত ৩ জনের মধ্যে খুলনার ২ জন ও বাগেরহাটের ১ জন রয়েছেন।
এক দিনে এই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৮ জন ও সুস্থ হয়েছে ফিরে গেছেন ১৬ জন।
এ হাসপাতালে এখন ভর্তি আছনে ৬৫ জন।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এ হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে মৃতদের মধ্যে খুলনার ৪, যশোরের ৩ ও পিরোজপুরের ২ জন রয়েছেন।
এখানে গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ জন ভর্তি হয়েছেন। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২০ জন।
তিনি আরও জানান, বুধবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালটিতে ৮৫ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৫ ও এইচডিইউতে ১০ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা মেডিক্যালের ল্যাবে মঙ্গলবার ৫৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬৫ জনের করোনা পজিটিভ হয়।
চুয়াডাঙ্গা
জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ১০ জন।
এর মধ্যে তিনজন করোনা পজিটিভ ছিলেন।
এক দিনে ১২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। শনাক্তের হার প্রায় ৪৪ শতাংশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এএসএম মারুফ হাসান।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগী ৩ হাজার ৩১৯ জন, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছেন। ২ হাজার ১৭৩ জন। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মারা গেছে ১০৫ জন।