গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের করোনা নমুনা পরীক্ষার পিসিআর (মাইক্রোবায়োলজি) ল্যাবে বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লু মেশিন বিকল হয়ে পড়েছে। এর ফলে সোমবার থেকে হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে করোনার নমুনা পরীক্ষা। জেলার করোনার নমুনা সংগ্রহের পর পাঠানো হচ্ছে ঢাকায়।
গণমাধ্যমকে মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজের মাইক্রোবায়েলজি বিভাগের প্রধান ও মাইক্রোবায়েলজি ল্যাবের ইনচার্জ এস কে সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, কয়েকদিন ধরেই বায়োসেপ্টিক কেবিনেটে ল্যামিনার ফ্লুর মেশিনটিতে সমস্যা দেখা দেয়। বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কার্যালয়কে জানানো হলে গত ২৭ জুন ঢাকা থেকে একটি বিশেষজ্ঞ টিম আসেন। তারা মেশিনটি পরিবর্তনের পরার্মশ দিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রতিবেদন দেন। ২৮ জুন সকালে কাজ করতে গিয়ে ওই মেশিনটি বিকল হয়ে যায়। এদিন থেকে করোনার সব নমুনা ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
সাইফুল ইসলাম বলেন, ল্যাবে করোনা সংক্রমণ রোধে এ কেবিনেটের ভেতরে নমুনা রেখে কাজ করতে হয়। আর ওই কেবিনেটের ল্যামিনার ফ্লু নষ্ট বা বিকল হলে ল্যাবে বাতাসের মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকিতে পড়বে ল্যাবে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ ল্যাবে বিভিন্ন শিফটে ৬ জন চিকিৎসক, ৭ জন টেকনেশিয়ান এবং ৭ জন কর্মচারী কাজ করেন। এরইমধ্যে ল্যাবের দুই কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন।
হাসপাতালটির ল্যাবে প্রতিদিন ১৮৮টি করোনা নমুনা পরীক্ষা করা যায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এসব নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হলেও ঢাকায় নমুনা পাঠানো হলে পরীক্ষার ফল পেতে সময় কিছুটা বেশি লেগে বলে জানান ডা. সাইফুল ইসলাম।
গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব ছাড়াও গাজীপুরে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল ল্যাবে করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। গাজীপুরে প্রতিদিন পৌনে ৪০০ এর মতো করোনা নমুনা সংগ্রহ হয়। এসব নমুনা গাজীপুরের এ দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ঢাকার আইপিএইচ ল্যাব এবং সাভারের বায়োটেনোলজি ল্যাবেও পাঠানো হয়