যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা দেশে জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঔষধ অধিদপ্তর থেকে মঙ্গলবার রাতে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই নিয়ে দেশে করোনা প্রতিরোধী সাতটি টিকা জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন পেল।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর আরও জানায়, বাংলাদেশে ভ্যাকসিনটির লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করবে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ম্যাটারনাল, নিওন্যাটাল, চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডোলোসেন্ট হেলথ (এমএনসি অ্যান্ড এএইচ) ইউনিট।
ভ্যাকসিনটি গত ২২ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তালিকাভুক্ত হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের এফডিএ ও ইউরোপীয় মেডিসিন এজেন্সির ইমার্জেন্সি ইউজ অথোরাইজেশনও পেয়েছে মডার্নার টিকা।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের মডার্না উদ্ভাবিত করোনাভাইরাস টিকাটি ১৮ বছর ও তার চেয়ে বেশি বয়সীদের জন্য ব্যবহারযোগ্য। ভ্যাকসিনটি বাংলাদেশ সরকারের ডিপ্লয়মেন্ট প্ল্যান অনুযায়ী নির্ধারিত বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যে প্রয়োগ করা হবে। ভ্যাকসিনটি দুই ডোজের, নিতে হবে চার সপ্তাহের ব্যবধানে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যাবে ৩০ দিন।
জরুরি প্রয়োগের জন্য দেশে এই নিয়ে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সাতটি টিকার অনুমোদন মিলল।
গত ৭ জানুয়ারি সবার আগে দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিন প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার।
এরপর গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার জেনেরিয়াম জয়েন্ট স্টক কোম্পানি উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি, ২৯ এপ্রিল বেইজিং ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস উদ্ভাবিত সিনোফার্ম ভ্যাকসিন, ২৭ মে ফাইজার-বায়োএনটেক উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন এবং ৬ জুন চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্সেস উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন করোনাভ্যাক টিকার অনুমোদন দেয়। এরপর গত ১৫ জুন বেলজিয়ামের জনসন অ্যান্ড জনসন (জ্যানসেন ক্লেগ ইন্টারন্যাশনাল) উৎপাদিত এক ডোজের টিকা অনুমোদ দেয়া হয়।
সবশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মডার্নার টিকা অনুমোদন দিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।