চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভির টিকা পেতে এরই মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী মাসের শুরুতেই চুক্তির প্রথম চালানের টিকা দেশে আসবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো আয়োজিত সভা শেষে সোমবার সাংবাদিকদের এ কথা জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
সেই সঙ্গে প্রবাসীদের দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মস্থলে ফেরা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে তাদের ফাইজারের টিকা দেয়ার কথাও জানায় অধিদপ্তর। এ জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করার কথা বলা হয়।
খুরশীদ আলম বলেন, ‘আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহে বড় অংকের টিকা আসবে। আমাদের লক্ষ্য ৮০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেয়া। টিকা দিতে পারলে বড় অংশকে সুরক্ষিত করতে পারব। গ্রামপর্যায় পর্যন্ত ভ্যাক্সিনেট করতে চাই, যেসব শ্রমিকরা বিদেশে যাবেন তাদের টিকায় অগ্রাধিকার দেয়া হবে।’
এরই মধ্যে উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ১১ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে চীন। এই টিকা শুধু মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের দেয়া হচ্ছে।
চীনের সঙ্গে চুক্তির টিকা আসলে গণটিকা কর্মসূচি শুরু করার কথা জানান মহাপরিচালক।
হাতে আসা সিনোফার্মের টিকা থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেয়া হচ্ছে ঢাকার চারটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালসহ দেশে ২৭ হাসপাতালে শিক্ষার্থীদের।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘কোভ্যাক্সের কাছে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ২০ লাখ ডোজ চাওয়া হয়েছে। আগস্টের মাঝামাঝি আসতে পারে চালান, তবে কী পরিমাণ আসবে, সেটা এখনও জানায়নি।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ভ্যাকসিন নিয়ে পলিটিক্স চলছে, আমরাও সেই পলিটিক্সের শিকার। তবে ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রে সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয়।’
দেশে গণটিকা কার্যক্রম শুরু হয় অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কোভিশিল্ড টিকা দিয়ে। ভারতের সিমার ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সেই টিকা কেনার চুক্তিও হয় বাংলাদেশের।
চুক্তি হয় ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার। যা প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ধাপে ধাপে দেয়ার কথা সিরামের। সিরাম মাত্র ৭০ লাখ টিকা দিয়ে জানায়, তারা আপাতত টিকা রপ্তানি করবে না।
এর বাইরে ভারত সরকার বাংলাদেশকে উপহাস হিসেবে ৩৩ লাখ টিকা দেয়।
এরপর দেশে বন্ধ হয়ে যায় টিকা কার্যক্রম। চীন উপহার হিসেবে সিনোফার্মের ১১ লাখ টিকা বাংলাদেশকে দেয়। সেটা দিয়ে আবার শুরু হয় টিকাদান।
চীন থেকে কেনা টিকা আসলে তবেই গণটিকা শুরু করতে পারবে সরকার।