করোনাভাইরাসে খুলনায় একদিনে আরও ১১ ও কুষ্টিয়ায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনার দুটি হাসপাতালে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে এক দিনে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালে ৬ জন ও গাজী মেডিক্যাল হাসপাতালে ৫ জন মারা গেছেন।
খুলনা ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া অবস্থায় করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে খুলনায় ৪, সাতক্ষীরা ও বাগেরহাটে ১ জন করে মারা গেছেন।
এ ছাড়া ১৩০ শয্যার এ হাসপাতালে সোমবার সকাল পর্যন্ত ১৬৯ জন রোগী ভর্তি ছিলেন।
যার মধ্যে রেড জোনে ৯৯ জন, ইয়েলো জোনে ৩১ জন, এইচডিইউতে ২০ জন ও আইসিইউতে ১৯ জন চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ভর্তি হয়েছেন ৪৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৫ জন।
খুলনা ২৫০ জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র ডা. কাজী আবু রাশেদ জানান, এক দিনে এ হাসপাতালে কোনো মৃত্যু নেই। তবে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৯ জন এবং বাড়ি ফিরেছেন ১০ জন।
এ ছাড়া হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছেন ৬৭ জন। এর মধ্যে ৩৩ পুরুষ ও ৩৪ নারী।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে বাগেরহাট, নড়াইল ও গোপালগঞ্জে ১ জন করে ও খুলনায় ২ জন মারা গেছেন।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ৯৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৪ জন ও এইচডিইউতে ৯ জন।
এই হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৬ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৩ জন।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ ডা. মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে রোববার রাতে মোট ৪৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৮৪ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
যার মধ্যে খুলনার ৩৩০ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৩২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া বাগেরহাটে ৪০ জন, সাতক্ষীরা ও যশোরে ৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া নড়াইল, পিরোজপুর, গোপালগঞ্জ ও ঝিনাইদহে ১ জন করে রয়েছেন।
কুষ্টিয়া
এদিকে কুষ্টিয়া করোনা ডেডিকেটেড জেনারেল হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউর রহমান জানান, মৃতদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিলেন ৭ জন। বাকি দুইজনের মৃত্যু হয় উপসর্গ নিয়ে।
হাসপাতালে করোনা পজিটিভ রোগী ভর্তি আছেন ১৩৭ জন। আর উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৪৬ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৪৭ নমুনা পরীক্ষা করে ১৭২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়; শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
হাসপাতাল ও বাসা মিলিয়ে জেলায় ১ হাজার ৮২৮ জন করোনা পজিটিভ রোগী রয়েছেন।