শারীরিক স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজনের জন্য দায়ী নানা কারণ। অলসতা, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া থেকে শুরু করে দৈনন্দিন জীবনে অনেক খামখেয়ালিপনার মাশুল গুনতে হয় ওজন বৃদ্ধি ও এর জেরে শরীরে নানা রোগকে বাসা বাঁধতে দেয়ার মাধ্যমে।
এসব কারণের অন্যতম হলো মানসিক চাপ বা হতাশা, বিষণ্নতা, অবসাদ।
মানসিক চাপের ফলে দেহের ওজন বাড়ে কি না, এ প্রশ্নের উত্তর হলো ‘হ্যাঁ’।
টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মন ভালো না থাকলে এড্রেনালিনসহ দেহে বিভিন্ন হরমোন নিঃসরণের ফলে রক্তে শর্করা বাড়ে; বাড়ে ক্লান্তি। ফলে অনিদ্রাসহ নানা কারণে মানুষ অবসন্ন হতে শুরু করে।
এ পর্যায়ে বাড়ে কারণে-অকারণে খাওয়ার প্রবণতা আর তৈরি হয় নানা ধরনের অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস। একপর্যায়ে শরীর আরও ক্লান্ত হতে শুরু করে, বাড়ে অলসতা।
এসবের ধারাবাহিকতায় শেষ পর্যন্ত যা ঘটে, তা হলো ওজন বৃদ্ধি ও নানা রোগের সূত্রপাত।
তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে মানসিক চাপ কমানোর বিকল্প নেই।
কর্মক্ষেত্র থেকে শুরু করে পারিবারিক সমস্যা, ব্যক্তিগত সম্পর্ক যেকোনো কিছু থেকেই মানসিক চাপ দেখা দিতে পারে।
সব ক্ষেত্রেই আছে সমাধানের উপায়ও। এ জন্য কেবল হতে হবে উদ্যোগী ও অধ্যবসায়ী, থাকতে হবে ইচ্ছা ও চেষ্টা।
ওজন কমাতে হলে তাই প্রথমেই মনকে নিয়ন্ত্রণ করা শিখুন।
বাড়ি থেকে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপের কারণগুলো চিহ্নিত করুন। তারপর চাপমুক্ত হওয়ার উপায় বের করুন।
নিয়মিত শরীরচর্চার মাধ্যমেও মানসিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা সম্ভব। অতিরিক্ত ক্যালোরি পুড়ে গেলে শুধু যে ওজন কমবে তাই নয়, মন ভালো রাখতেও সহযোগিতা করবে।
গড়ে তুলতে হবে সুস্থ খাদ্যাভ্যাস। এটিও শুধু ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেই নয়, মন ভালো রাখতেও একই রকম গুরুত্বপূর্ণ।
দিনভর পরিমিত পানি পান করাও মন ও শরীর সুস্থ রাখার অবিচ্ছেদ্য অংশ।
এ ছাড়া যোগব্যায়াম, ধ্যানের মাধ্যমেও মানসিক প্রশান্তি নিশ্চিত ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।