ভারতের সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরায় চলতি মাসের ২৬ দিনে শুধু করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়েই মৃত্যু হয়েছে ৩১৩ জনের।
শুক্রবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় আরও ৯ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
সাতক্ষীরা জেলা সিভিল সার্জন অফিস জানায়, চলতি মাসের ২৬ দিনে জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৬৩ জনের, আর উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন ৩১৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় চলতি মাসের সবচেয়ে কম করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ সময় ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৩ জনের শরীরে। করোনা শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৪ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার এই হার ছিল ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
শনাক্তের এই হার চলতি মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন।
করোনা সক্রমণ রোধে সাতক্ষীরায় চলমান লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন পার হচ্ছে। লকডাউন বলা হলেও মানুষের মধ্যে নেই কোনো সচেতনতা। মাস্ক ছাড়াই অসংখ্য মানুষ রাস্তায়, হাটে বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। চলছে গণপরিবহনসহ প্রায় সব ধরনের পরিবহন।
বেলা ১১টার পর সব দোকানপাট বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও চুরি করেই চলছে বেচাকেনা। পুলিশের বাধা ও ব্যারিকেডও মানছে না মানুষজন।
এর মধ্যে করোনা পজিটিভ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৭ জন ও শহরের কয়েকটি বেসরকারি হাসপাতালে আরও ১৪ জনসহ ৪১ জন চিকিৎসাধীন আছেন।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে করোনা পজিটিভ ও উপসর্গ নিয়ে ২৫৪ জন ও বেসরকারি হাসপাতালে ১২০ জন ভর্তি আছেন।
সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়াত জানান, জনসচেতনতা কম থাকায় মানুষ লকডাউন লঙ্ঘন করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলার সাত উপজেলায় জনসমাগম ও যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য পুলিশ বিভিন্ন সড়কে ব্যারিকেড বসিয়েছে; টহলও জোরদার করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ রোধে দেশে সোমবার থেকে সারা দেশে এক সপ্তাহের শাটডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।