বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা প্রতিষ্ঠান কোভ্যাক্সের মাধ্যমে আরও ২৫ লাখ ডোজ টিকা পাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের টিকাগুলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মডার্নার উদ্ভাবিত।
আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকাগুলো দেশে পৌঁছানোর কথা বলে শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈশ্বিক উদ্যোগ কোভ্যাক্স থেকে এই ভ্যাকসিন পাবে বাংলাদেশ।’
এর আগে গত ৩১ মে কোভ্যাক্সের পক্ষ থেকে পাঠানো হয় ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা। রাজধানীর তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ওই টিকার প্রয়োগ চলছে।
কোভ্যাক্স প্ল্যাটফর্মটি গড়ে তোলা হয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) এবং কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) উদ্যোগে।
এই জোটের মাধ্যমে ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য বিনা মূল্যে টিকার ব্যবস্থা করার কথা। কোভ্যাক্স থেকে প্রথম ধাপে ১ কোটি ২৭ লাখ ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু বিশ্বজুড়ে টিকার সংকট দেখা দেয়ায় তা সম্ভব হচ্ছে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘গত জুনে কোভ্যাক্সের কাছে টিকা পেতে আমরা চিঠি দিয়েছিলাম। কোভ্যাক্সে থেকে প্রায় ৭ কোটি টিকা দেয়ার কথা রয়েছে। এটা পর্যায়ক্রমে আসবে। কোভ্যাক্সে সেই চিঠির জবাব আমাদের কাছে এসেছে। উনারা আমাদের ২৫ লাখ টাকা দেবে বলে জানিয়েছে।
‘আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে টিকা আমাদেরকে টিকা আনতে বলা হয়েছে। এই বিষয়টি উনারা বলেছেন এবং যা যা ব্যবস্থা নেয়া দরকার সেই ব্যবস্থা নিতে বলছেন। ইতোমধ্যে আমরা চিঠিও পাঠিয়ে দিয়েছি।’
চীনের টিকার বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের টিকার বিষয়ে আমাদের একটা চুক্তি হয়েছে, আমরা চীনের টিকা নেব। আমরা আশা করছি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি লট আমরা পাব। তবে কী পরিমাণ পাব এবং টাইমিংটা আমরা পরে জানাব।’