খুলনার তিনটি হাসপাতালে করোনাভাইরাস ও উপসর্গ নিয়ে এক দিনে আরও ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
খুলনা করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৬, গাজী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২ ও জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
খুলনা করোনা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুহাস রঞ্জন হালদার জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৫ জনের করোনায় ও ১ জনের মৃত্যু হয় উপসর্গ নিয়ে।
১৩০ শয্যার এ হাসপাতালে সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৫৪ জন রোগী ভর্তি ছিল। এর মধ্যে রেড জোনে ৯৬, ইয়েলো জোনে ২৩, এইচডিইউতে ২০ ও আইসিইউতে ১৬ জন চিকিৎসাধীন।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ৩৯ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২২ জন।
খুলনা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটের মুখপাত্র কাজী আবু রাশেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে খুলনার রূপসা উপজেলার সরদার মনিরুল নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৬৯ জন। এর মধ্যে ৩০ পুরুষ ও ৩৯ জন নারী।
গাজী মেডিক্যালের স্বত্বাধিকারী গাজী মিজানুর রহমান জানান, এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলেন নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকার শাহানা জামান ও পিরোজপুর সদরের রহিমা।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ৯৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এর মধ্যে আইসিইউতে ৯ ও এইচডিইউতে ৭ জন চিকিৎসাধীন।
এক দিনে হাসপাতালে ২৯ জন ভর্তি হয়েছেন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৯ জন।
এ ছাড়া হাসপাতালের আরটি পিসিআর মেশিনে ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
খুলনা মেডিক্যাল কলেজের উপাধ্যক্ষ মেহেদী নেওয়াজ জানান, খুলনা মেডিক্যালের পিসিআর ল্যাবে বৃহস্পতিবার রাতে ৩৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে ১৯৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে।
খুলনার ৩২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ১৭৬ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়।
এ ছাড়া বাগেরহাটের ১৪, যশোরের ৬, সাতক্ষীরার ২ ও গোপালগঞ্জের ১ জন রয়েছেন।
উপাধ্যক্ষ আরও জানান, মোট নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৫১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।