যশোরে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১০ জন। এ সময়ে জেলায় নতুন করে আরও ১৯১ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
জেলার সিভিল সার্জন অফিসের ফোকাল পারসন মো. রেহনেওয়াজ বিষয়টি নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, যশোরে বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়ে পাঁচজন ও উপসর্গ নিয়ে চারজন মারা গেছেন। এদিন ৫০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৯১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে পিসিআর ল্যাবে ২৮১ জনের মধ্যে ১২০ জন ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২২৫ জনের মধ্যে ৭১ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তের হার ৩৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আরিফ আহমেদ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটের ৮০ শয্যা রোগীতে ভরে গেছে। অন্তত ৩০ জনকে হাসপাতালের মেঝেতে রাখা হয়েছে। এখন হাসপাতালের মেঝেতেও জায়গা নেই।
আরিফ আহমেদ বলেন, ‘যশোরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। কঠোর লকডাউন ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জায়গা দেয়া যাচ্ছে না। চাপ কমানোর জন্য মঙ্গলবার থেকে বেসরকারি জনতা হাসপাতালে ভারতফেরত রোগীদের রাখা হচ্ছে।’
এদিকে, বুধবার রাত ১২টা থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত যশোর জেলায় কঠোর লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক (ডিসি) তমিজুল ইসলাম খানের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, লকডাউন কার্যকর করতে আরও কঠোর অবস্থানে নেমেছে প্রশাসন। ওষুধ ছাড়া সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। এ ছাড়া পণ্যবাহী ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সব গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা ও কৃষি উপকরণসহ জরুরি পরিষেবার যানবাহন এ নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে।