বাংলাদেশসহ এশিয়ার ১৮টি দেশ ও অঞ্চলকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ বিনা মূল্যে দিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। বিশ্বব্যাপী টিকার সুষম বণ্টন নিশ্চিতে জাতিসংঘের গৃহীত কোভ্যাক্স কর্মসূচির মাধ্যমে বিতরণ করা হবে এ টিকা।
সাড়ে ৫ কোটি ডোজ বণ্টনের বিস্তারিত পরিকল্পনা সোমবার প্রকাশ করেছে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সাড়ে ৫ কোটি ডোজের ৭৫ শতাংশ অর্থাৎ ৪ কোটি ১০ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হবে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে। এসব টিকা পাবে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চল, এশিয়া ও আফ্রিকার স্বল্পোন্নত দেশগুলো।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এর মধ্যে লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অঞ্চলের জন্য বরাদ্দ ১ কোটি ৪০ লাখ ডোজ, এশিয়ার জন্য ১ কোটি ৬০ লাখ ডোজ আর আফ্রিকার জন্য ১ কোটি ডোজ।
এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশ ছাড়াও টিকা পাবে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, মালদ্বীপ, ভুটান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, লাওস, পাপুয়া নিউ গিনি, তাইওয়ান, কম্বোডিয়া ও প্যাসিফিক আইল্যান্ডস।
বাকি ২৫ শতাংশ, অর্থাৎ ১০ কোটি ৪০ লাখ ডোজ আঞ্চলিক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাঠানো হবে কলম্বিয়া, আর্জেন্টিনা, ইরাক, ইউক্রেন আর অবরুদ্ধ পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকায়।
বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ৮ কোটি ডোজ টিকা বিনা মূল্যে দেবেন বলে যে আশ্বাস দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সেটি রক্ষারই প্রথম ধাপ এটি। এর মধ্যে আড়াই কোটি ডোজ চলতি মাসেই পাঠিয়ে দেবে ওয়াশিংটন।
দরিদ্র দেশগুলো যখন করোনা নিয়ন্ত্রণ ও টিকা কার্যক্রম পরিচালনায় হিমশিম খাচ্ছে, সে সময় সহযোগিতার জন্য চাপ বাড়ছিল বিশ্ব রাজনীতি ও অর্থনীতিতে নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর।
যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার বড় অংশের জন্য টিকা নিশ্চিত হয়ে যাওয়ার পর বৈশ্বিক চাহিদা মেটানোর দিকে নজর দিয়েছে দেশটির সরকার।
বিনা মূল্যে বিতরণের প্রথম সাড়ে ৫ কোটি ডোজের চালানে রয়েছে ফাইজার-বায়োএনটেক, মডার্না ও জনসন অ্যান্ড জনসনের গবেষণালব্ধ টিকা।
যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এফডিএর অনুমোদন মিললে দেশটিতে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাও দরিদ্র দেশগুলোতে পাঠাবে ওয়াশিংটন।
বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির সাত দেশের জোট জি সেভেন চলতি বছর দরিদ্র দেশগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে।
এর মধ্যে কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারে উৎপাদিত আরও ৫০ কোটি ডোজ দেয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের।