করোনাভাইরাস মহামারি সময়ে তথ্য বিভ্রান্তি এড়াতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সকল তথ্য দেয়া ও পর্যালোচনার দায়িত্ব শুধু ওই মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা উচিত বলে মত দিয়েছে জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি। তাই অন্য কোনো মন্ত্রণালয় যেন স্বাস্থ্যের কোনো তথ্য প্রকাশ না করে, সে জন্য অনুরোধ জানিয়েছে এই কমিটি।
রোববার সংসদ ভবনে একাদশ জাতীয় সংসদের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির নবম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক, আ ফ ম রুহুল হক, মো. আব্দুল আজিজ, সৈয়দা জাকিয়া নুর, রাহগির আলমাহি এরশাদ ও আমিরুল আলম মিলন।
জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের জনসংযোগ শাখা থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, তথ্য বিভ্রান্তি এড়াতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত যাবতীয় তথ্য প্রদান ও পর্যালোচনা শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করার লক্ষ্যে অন্যান্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর সহযোগিতা আহ্বান করা হয়। বৈঠকে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়গুলোকে সুপারিশ করা হয়।
দেশের সকল জনগণকে টিকার আওতায় নিয়ে আসতে টিকা উৎপাদন প্রক্রিয়ায় দ্রুততার সঙ্গে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নিতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে কমিটি।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা সহজতর প্রক্রিয়ায় যাচাই-বাছাই করে দ্রুত পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠাতেও মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করেছে কমিটি।
করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর এ পর্যন্ত কত টাকার মাস্ক ও কিট কেনা হয়েছে, টিকা সংকট মোকাবলায় কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, টিকা জিটুজি নাকি এজেন্টের মাধ্যমে আনা হচ্ছে, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আইসিইউ ও অক্সিজেনের বর্তমান অবস্থা ও সম্ভাব্য সংকট থেকে উত্তরণ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা করা হয়েছে বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৈঠকে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরাসহ মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।