করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার ১০০ কোটির বেশি ডোজ জনগণকে দিয়েছে চীনের সরকার। এ সংখ্যা বৈশ্বিকভাবে দেয়া করোনা টিকার এক তৃতীয়াংশের বেশি।
বিবিসির প্রতিবেদনে রোববার এ তথ্য জানানো হয়েছে।
চীনে করোনার প্রাদুর্ভাব কমে যাওয়ায় দেশটির জনগণের মধ্যে টিকা নেয়ার ক্ষেত্রে অনাগ্রহ দেখা দেয়।
তবে টিকা নিলে বিনা মূল্যে ডিমসহ অন্যান্য প্রণোদনা ও বিশ্বজুড়ে ডেল্টা ধরনের করোনার প্রকোপের পরিপ্রেক্ষিতে টিকা গ্রহণ বৃদ্ধি পায়।
চলতি বছরের জুলাইয়ের মধ্যে ১৪০ কোটি জনগোষ্ঠীর ৪০ শতাংশকে পুরোপুরি টিকার আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
নিজেদের তৈরি টিকা সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক নিচ্ছে চীনের মানুষ। উভয় টিকারই ডোজ দুটি।
চীনে করোনা মোকাবিলায় লকডাউন ও গণপরীক্ষা ভাইরাসটির সংক্রমণ অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। চীনের অনেকের মধ্যে এসব কারণেও টিকা নেয়ার বিষয়ে উৎসাহের ঘাটতি দেখা যায়।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং প্রদেশে করোনার ডেল্টা ধরনের সংক্রমণ দেখা দেয়ায় মানুষজন টিকা নেয়ার ব্যাপারে ফের উদ্যোগী হয়।
চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন বলেছে, সম্প্রতি ১০ কোটি টিকা শেষ হতে মাত্র পাঁচ দিন সময় লাগে।
চীনের গুয়াংডং প্রদেশের গুয়াংঝাউ শহরের চিকিৎসকেরা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেন, করোনার ডেল্টা ধরনের উপসর্গ ভিন্ন ও আরও বিপজ্জনক। ২০১৯ সালে উহান শহরে শনাক্ত হওয়া ধরন এত ঝুঁকিপূর্ণ ছিল না।
গুয়াংঝাউ শহরের কাছে শেনজেন শহরের এক বাসিন্দা বলেন, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে টিকা নিতে চাননি। তবে এখন সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন তিনি।
২৭ বছর বয়সী ওই বাসিন্দা বলেন, ‘আমি এখন টিকা নিতে চাই। তবে টিকার অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া এখন বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। এখন আর টিকা নিলে বিনা মূল্যে ডিম দেয়া হচ্ছে না। টিকাকেন্দ্রে পৌঁছাতে ফ্রি রাইড দেয়াও এখন বন্ধ।’