বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ সোমবার

  •    
  • ১৯ জুন, ২০২১ ১৬:২৫

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে জানান, ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলে ৭ দিন পর গণহারে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ আগামী সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। নিবন্ধন করেও যারা টিকা পাননি, তাদের মধ্য থেকে আপাতত ১২০ জনকে দেয়া হবে ফাইজারের ডোজ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে শনিবার এ তথ্য জানানো হয়।

ফাইজারের টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের। জানা গেছে, ১২০ জনের বেশির ভাগই থাকবেন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী।

পরীক্ষামূলক প্রয়োগের পর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখার জন্য সাত দিন প্রত্যেককে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এরপর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একযোগে দেয়া হবে ফাইজারের টিকা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, সোমবার থেকে ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হবে। যারা এই সেন্টারে নিবন্ধন করে এখনও টিকা পাননি, তাদের মধ্যে থেকে ১২০ জনকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করে এই টিকা দেয়া শুরু করা হবে।

তিনি জানান, সোমবারের অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর থাকার কথা রয়েছে। উনি না এলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলমের মাধ্যমে এই টিকা দেয়া শুরু হবে। ১২০ জনকে দেয়ার পর এক সপ্তাহ বন্ধ থাকবে টিকা প্রয়োগ।

গত ৩১ মে দেশে পৌঁছায় ফাইজারের ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা। ছবি: নিউজবাংলা

এই তালিকায় কারা থাকছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে শারফুদ্দিন বলেন, ‘এখনও কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। বিএসএমএমইউতে ৪৮ হাজার মানুষ নিবন্ধন করেছে। এর মধ্যে ৪৬ হাজার টিকা দেয়া হয়েছে।

‘যারা নিবন্ধন করেছে টিকা পাননি তাদের এই টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে যাদের এসএমএস পাঠাবে, তাদের তালিকা আমাদের এখানেও পাঠাবে, সেই তালিকা থেকে টিকা দেয়া হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম নিউজবাংলাকে জানান, ফাইজারের টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করে এক সপ্তাহ অপেক্ষা করা হবে। কোনো ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা না গেলে ৭ দিন পর গণহারে টিকা প্রয়োগ শুরু হবে। এ টিকা তাপমাত্রা জটিলতার কারণে রাজধানীতেই দেয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা শুরু করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা টিকা দিয়ে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ। তবে রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭০ লাখ দেয়ার পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি। এ অবস্থায় অন্য দেশ থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। আর ফাইজারের কিছু টিকা পাওয়া গেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।

উৎপাদক প্রতিষ্ঠান দাবি করছে, কার্যকারিতার দিক থেকে ফাইজারের টিকা করোনা প্রতিরোধে ৯৫ শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর। তবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড, সিনোফার্মের টিকা বিবিআইবিপি-করভি, রাশিয়ার স্পুৎনিক-ভির মতো ফাইজারের টিকাও নিতে হয় দুই ডোজ করে।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনার টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ফাইজারের এই টিকা দেয়া হয়েছে বাংলাদেশকে। এই টিকার দাম তুলনামূলক বেশি আর এর কার্যকারিতাও বেশি। এ কারণে এই টিকার প্রতি মানুষের আগ্রহ আছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক আগেই জানিয়েছেন, নিবন্ধন করেও যারা টিকা পাচ্ছেন না, ফাইজারের টিকা প্রয়োগে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হবে শিক্ষার্থীদেরও।

ফাইজারের ভ্যাকসিন সারা দেশে পরিবহন করার মতো কোল্ড চেইন সিস্টেম না থাকায় এগুলো মূলত রাজধানীতেই দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ফাইজারের ভ্যাকসিন অবশ্যই মাইনাস ৬০-৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করতে হয়।

এ বিভাগের আরো খবর