এবার ভারতে নদীর জলেও মিললো করোনাভাইরাসের নমুনা। আসামের গুয়াহাটি এবং গুজরাটের আহমেদাবাদে সবরমতীর জলে করোনার নমুনা পাওয়া গিয়েছে। একইসঙ্গে সে শহরের কাঁকরিয়া ও চন্দোলা ঝিলের জলেও করোনার উপস্থিতি মিলেছে।
গান্ধীনগর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) ও দিল্লির জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ এনভায়রনমেন্ট সায়েন্স যৌথভাবে সবরমতীর জলের নমুনা পরীক্ষা করে।
সেখানেই দেখা যায় নদীর জলে অবাধে বেঁচেবর্তে রয়েছে করোনাভাইরাস। গান্ধীনগর আইআইটির আর্থ সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক মণীশ কুমার জানান, ঝিল ও নদীর জলে সার্স-কোভ-২র উপস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগের।
গোটা রাজ্যের জন্য সেটি ভয়াবহ হতে পারে। নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে ইউনিসেফকে। নদী ও ঝিলের জলে করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন সিদ্ধান্ত নেয়, নিয়মিতভাবে জলের নমুনা পাঠানো হবে গুজরাট বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে।
জলের প্রাকৃতিক উৎসেও করোনার বাস সম্ভব কিনা সেটি খতিয়ে দেখতে লাগাতার সমীক্ষা চালাচ্ছে আইআইটি গান্ধীনগরসহ দেশের আটটি প্রতিষ্ঠান। তারা ইতোমধ্যেই ‘ন্যাচরাল ওয়াটার সোর্সে’ করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পেয়েছে। তারা অসমের গুয়াহাটিতে ভারু নদীর জলেও সমীক্ষা চালায়। সেই নদীর জলেও করোনার উপস্থিতি দেখা গিয়েছে।
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ও ২৯ ডিসেম্বরের মধ্যে সপ্তাহে একবার জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে সাবরমতী নদী এবং কাঁকরিয়া ও চান্দোলা হ্রদ থেকে। সাবরমতী নদী থেকে ৬৯৪টি, চান্দোলা থেকে ৫৪৯ এবং কাঁকরিয়া হ্রদ থেকে ৪০২টি নমুনা নেয়া হয়।
অধ্যাপক মণীশ কুমার বলেন, ‘আমাদের দল নদী থেকে জলের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করেছে। আহমেদাবাদের ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সবচেয়ে বেশি। অন্যদিকে গুয়াহাটিতে এরকম প্ল্যান্ট একটিও নেই। আমরা তাই এই দুই জায়গাকেই পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে বেছে নিই। কিন্তু দেখলাম দুই জায়গাতেই জলে করোনার উপস্থিতি।’
শুধু বর্জ্য মিশ্রিত জলই নয়, স্বচ্ছ টলটলে জলেও অবাধে থেকে যেতে পারে করোনাভাইরাস। অন্তত এই সমীক্ষায় তেমনটাই দাবি করা হয়েছে।