করোনাভাইরাস এবং মহামারি আকার ধারণ করতে পারে এমন সম্ভাব্য ভাইরাসের প্রতিষেধক পিল বা বড়ি আবিষ্কারে ৩ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে এ ঘোষণা দেন দেশটির সংক্রামক রোগবিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচি।
‘অ্যান্টিভাইরাল প্রোগ্রাম ফর প্যান্ডামিকস’-এর আওতায় এমন উদ্যোগ নিয়েছে জো বাইডেন প্রশাসন। এর আওতায় করোনাভাইরাসের মতো অন্যান্য সম্ভাব্য যেসব ভাইরাস মহামারির রূপ নিতে পারে সেগুলোর লক্ষণ এবং ওষুধ তৈরির চেষ্টা করা হবে।
করোনা মহামারির শুরু থেকেই বড়িজাতীয় ওষুধ আবিষ্কারের চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এই ওষুধের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হওয়ার পর যেন ঝুঁকি কমিয়ে আনা যায়। এসব ওষুধের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান। আশা করা যাচ্ছে, এসবের কোনো একটি আগামী বছরের শেষ নাগাদ প্রয়োগের পর্যায়ে আসতে পারে।
এসব ওষুধের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল, মানোন্নয়ন ও উৎপাদনে বেসরকারি পর্যায়ে উৎসাহ বাড়াতেই যুক্তরাষ্ট্র সরকার এ অর্থ বরাদ্দ দিল। ফাউচি বলছেন, এই বিনিয়োগ করোনা প্রতিরোধী চলমান কার্যক্রমকে আরও ‘গতিশীল’ করবে। অন্যান্য ভাইরাসেরও নতুন চিকিৎসার দ্বার উন্মোচন করবে।
তিনি বলেন, ‘সম্ভাব্য মহামারির কারণ হতে পারে এমন কিছু ভাইরাসের বেশ কিছু চিকিৎসা বিদ্যমান রয়েছে। তবে এসব চিকিৎসায় টিকাই মূল অস্ত্র।’
কোভিড-১৯ চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে এরই মধ্যে রেমডিসিভির ও তিনটি মিশ্রণ জাতীয় অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু এসব গ্রহণে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে যেতে হয় রোগীদের। এসব সমস্যার কারণে ওষুধগুলোর প্রতি তেমন আগ্রহ নেই।
ফাউচিসহ যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা চাচ্ছেন, রোগীদের হাতে পিলজাতীয় সহজ কোনো ওষুধ তুলে দিতে, যা তারা নিজেরাই নিতে পারবে।
ওষুধ উৎপাদক প্রতিষ্ঠানগুলোও এই ধরনের ওষুধ উৎপাদনের জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু গত কয়েক মাসে ওষুধগুলোর প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রত্যাশিত ফল আসেনি।
তবে আশার কথা হলো, এখন পর্যন্ত পাওয়া ওষুধগুলোর প্রয়োগে দেখা যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগীদের খুব একটা হাসপাতালে যাওয়া লাগছে না। সেরে উঠতেও সময় কম লাগছে।