বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শেরপুরে একদিনে ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত, মৃত্যু ১

  •    
  • ১৭ জুন, ২০২১ ২৩:১৪

বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রচার সেল জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাব ও ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৯ ভাগ।

স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও অসচেতনতার কারণে শেরপুর জেলায় বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জেলায় করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে গত সোয়া এক বছরে একদিনে এটাই সর্বোচ্চ শনাক্ত। বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের প্রচার সেল জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর ল্যাব ও ২৫০ শয্যার জেলা সদর হাসপাতালে র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ২১৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৯ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৮৯ ভাগ। ৪৯ জনের মধ্যে শেরপুর পৌর এলাকায় ৪৭ জন, একজন পাকুড়িয়া ইউনিয়নের ও একজন নকলা উপজেলার।

এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ২ জনে দাঁড়াল। এর আগে বুধবার এক দিনে সর্বোচ্চ ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছিল।

শনাক্ত ১ হাজার ২ জনের মধ্যে শেরপুর সদরে ৫৯৩ জন, নকলায় ১৫৩, নালিতাবাড়ীতে ১২২, ঝিনাইগাতীতে ৫৮ ও শ্রীবরদী উপজেলায় ৭৬ জন আছেন। এই সময়ে সুস্থ হয়েছেন ৭৫২ জন। মারা গেছেন ১৯ জন।

বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে মারা যাওয়া করোনা রোগী একজন নারী। ফারজানা নামে ৩১ বছর বয়সী ওই নারী ১৫ জুন করোনা শনাক্ত হন। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং রাতে মারা যান। তার বাড়ি শেরপুর পৌর এলাকায়।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১ জুন থেকে ১৪ দিনের জন্য কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলেও জনগণের মধ্যে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। অন্যান্যবারের মতো এবার প্রশাসনিক কঠোর অবস্থান না থাকায় জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। মাস্ক ছাড়া কারো ঘরের বাইরে বের হওয়ার ওপর বিধি-নিষেধ থাকলেও অধিকাংশ মানুষই মাস্ক ব্যবহার করছে না।

শেরপুরের সিভিল সার্জন এ কে এম আনওয়ারুর রউফ বলেন, ১ থেকে ১৭ জুন পর্যন্ত জেলায় ২৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের অধিকাংশই শেরপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা। এই সময়ে মারা গেছেন চারজন। জনগণ যদি সচেতন না হন, মাস্ক ব্যবহার না করেন, তবে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। করোনা রোগী বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা দেয়াও কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর