যশোরে ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের। এ সময়ে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২০৪ জনের শরীরে। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ।
যশোরের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, ২৪ ঘণ্টায় ৪১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২০৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন পাঁচজন। এদের মধ্যে শার্শা, অভয়নগর ও কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের রেড জোনে তিনজন ও যশোর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি দুইজন রোগী মারা গেছেন। এ নিয়ে যশোরে করোনায় গত এক সপ্তাহে ২০ জন মারা গেলেন ।
উচ্চঝুঁকির কারণে যশোরের দুই পৌরসভায় চলমান লকডাউন সাত দিন বাড়ানোর পাশাপাশি ঝিকরগাছা পৌরসভা, যশোর সদর উপজেলার উপশহর, নওয়াপাড়া, আরবপুর ও চাঁচড়া ইউনিয়নে, শার্শা উপজেলার শার্শা ইউনিয়ন এবং বেনাপোল বাজারে বুধবার সকাল থেকে লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান।তিনি জানান, লকডাউনের সময় চালক ছাড়া মোটরসাইকেলে কোনো আরোহী উঠতে পারবেন না। রিকশায় শুধুমাত্র একজন, ইজিবাইক ও অটোরিকশায় সর্বোচ্চ দুইজন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। শিল্প-কলকারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চালু থাকবে। শ্রমিকদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় আনা-নেয়া নিশ্চিত করতে হবে।‘পর্যটনস্থল, পার্ক, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এমন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান যেমন বিয়ে, জন্মদিন, পিকনিকসহ রাজনৈতিক ও ধর্মীয় জমায়েত বন্ধ থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে জুম্মার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। ঘর থেকে ওজু করে সুন্নত নামাজ পড়ে মসজিদে আসতে হবে। অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে উপাসনা করতে পারবে।’