বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আন্তর্জাতিক প্রটোকলের আগে বঙ্গভ্যাক্সের স্বীকৃতি নয়

  •    
  • ১৬ জুন, ২০২১ ২০:১৪

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘টিকা অনুমোদনের যে প্রক্রিয়া আছে, যে স্টেপগুলো আছে, সেগুলো কমপ্লিট করে তো আমাদের কাছে আসতে হবে। সেটি এখনও পূর্ণাঙ্গ করেনি। সেই প্রটোকলগুলো কমপ্লিট করেনি। যে প্রটোকলগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সেই প্রটোকলগুলো কমপ্লিট করে না এলে কখনো টিকাকে স্বীকৃতি দিতে পারবেন না।’

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশের একমাত্র টিকা তৈরির উদ্যোগ গ্লোব বায়োটেকের ক্যান্ডিডেট ভ্যাকসিন ‘বঙ্গভ্যাক্স’ যতক্ষণ আন্তর্জাতিক প্রটোকল সম্পন্ন না করবে ততক্ষণ সেটিকে স্বীকৃতি দেবে না সরকার।

সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বুধবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন।

একে তো করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ; তার ওপর ভাইরাস প্রতিরোধী টিকার সংকট। টিকা কিনতে নানা দেশের সঙ্গে চলছে দেনদরবার। উৎপাদনেও জোর দিচ্ছে সরকার। এমন বাস্তবতায় দেশীয় প্রচেষ্টা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ নেই আলোচনায়।

বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘টিকা অনুমোদনের যে প্রক্রিয়া আছে, যে স্টেপগুলো আছে, সেগুলো কমপ্লিট করে তো আমাদের কাছে আসতে হবে। সেটি এখনও পূর্ণাঙ্গ করেনি। সেই প্রটোকলগুলো কমপ্লিট করেনি। যে প্রটোকলগুলো আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত, সেই প্রটোকলগুলো কমপ্লিট করে না এলে কখনো টিকাকে স্বীকৃতি দিতে পারবেন না।’

টিকা একটি ‘হাইটেক জিনিস’ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের লোকাল যে কোম্পানিগুলো আছে, তাদেরকে অবশ্যই সহযোগিতা করতে চাই, সহানুভূতিশীল তাদের প্রতি।’

তবে একটি আন্তর্জাতিক প্রটোকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হলে এ নিয়ে কোনো সিদ্ধান্তে সরকার আসবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের মানুষকে তো ঝুঁকিতে ফেলতে পারব না। কাজেই সেই ট্রায়ালগুলো যদি কমপ্লিট করে আসে, যদি সেগুলো অ্যাকসেপ্ট হয়, তখনই তারা হিউম্যান ট্রায়ালের অনুমোদন পাবে। তার আগে তো সম্ভব নয়।’

‘হিউম্যান ট্রায়ালের আগে অনেকগুলো ধাপ পার হয়ে আসতে হয়’ -বলেও জানিয়েছেন জাহিদ মালেক।

বঙ্গভ্যাক্সসহ তিনটি কোম্পানির টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক ছাড়পত্রে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি)।

বুধবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে বৈঠক শেষে সংস্থাটির পরিচালক অধ্যাপক ডা. রুহুল আমিন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।

অন্য দুটি টিকা হলো ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন ও চীনের সিনোভ্যাকের করোনাভ্যাক।

বিএমআরসির পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, বিএমআরসিতে আবেদন করা তিন প্রতিষ্ঠানকে নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে কতগুলো নিয়ম অবশ্যই পালন করতে হবে। প্রথম পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল বানরের ওপর চালাতে হবে।

‘মানবদেহে প্রয়োগে নিরাপত্তা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হবে। এসব নিয়মনীতি মেনে করলে অবশ্যই আমরা অনুমোদন দিতে পারব।’

নৈতিক ছাড়পত্র পেতে গত ১৭ জানুয়ারি ১০ হাজার পৃষ্ঠার প্রটোকল পেপার বিএমআরসির কাছে জমা দেয় গ্লোব বায়োটেকের পক্ষে নিয়োজিত একটি গ্রুপ। এর আগে গ্লোব বায়োটেকের বিজ্ঞানীরা গত বছরের ২ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে আসার কথা প্রথম জানান।

তারা প্রাথমিকভাবে ইঁদুরের শরীরে ওই টিকা প্রয়োগে সাফল্যের কথাও জানান। এরপর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্ভাব্য টিকার তালিকায় নাম ওঠে বঙ্গভ্যাক্সের। ৬ জানুয়ারি টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দেয় ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।

এ বিষয়ে গ্লোব বায়োটেক লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ড. কাকন নাগ জানান, বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ থেকে নৈতিক ছাড়পত্রের অনুমোদন পেলে শতাধিক মানুষের ওপর টিকার পরীক্ষা করা হবে। এ জন্য কিছু বেসরকারি হাসপাতাল নির্ধারণ করা হয়েছে। নৈতিক ছাড়পত্র পেলে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে।

এ বিভাগের আরো খবর