ভারতে আরেকটি করোনা প্রতিষেধক ভ্যাকসিন তৈরির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ট্রায়ালের পর প্রকাশ্যে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের সংস্থা নোভাভ্যাক্স ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনের তৈরি টিকার কার্যকারিতা।
সংস্থা জানিয়েছে, করোনা প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর নোভাভ্যাক্সের টিকা। সোমবারই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। মোট ২৯ হাজার ৯৬০ জনের ওপর ট্রায়াল হয়েছিল এই টিকার। এরপর সংস্থার দাবি, মাঝারি সংক্রমণের ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ কার্যকর এই টিকা। সামগ্রিকভাবে এ টিকা ৯০.৪ শতাংশ কার্যকর। নভোভ্যাক্সের টিকার বাণিজ্যিক নাম কভোভ্যাক্স।
নির্মাতা মেরিল্যান্ডের সংস্থা জানিয়েছে ২০২১ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আপৎকালীন অনুমোদনের জন্য আবেদন করবে তারা। সংস্থার প্রেসিডেন্ট স্ট্যানলি সি এর্ক জানিয়েছেন, নভোভ্যাক্স ২০২১ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে প্রতি মাসে ১ কোটি টিকা তৈরি করবে। আর ২০২১ সালের শেষে প্রতি মাসে দেড় কোটি টিকা তৈরি করবে তারা। সারা বিশ্বের জনস্বাস্থ্যে বড় অবদান রাখবে নোভাভ্যাক্স, এমনটিই জানিয়েছেন স্ট্যানলি সি এর্ক।
জানা গেছে, নভোভ্যাক্সের এই টিকা তৈরি করবে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া। এখন দেশে কোভিশিল্ড তৈরি করেছে সিরাম। পাশাপাশি স্পুতনিক ভি তৈরিরও ছাড়পত্র পেয়েছে আদর পুনাওয়ালার সংস্থা। এবার নোভাভ্যাক্সের টিকা তৈরি করবে সিরাম। নোভাভ্যাক্সের এই টিকার আরেক নাম NVX-CoV2373। ২ ডিগ্রি থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা যায় এই টিকা। তাই ভারতে এই টিকা পরিবহনের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।