করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে জেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে আগামী ১৪ দিন লকডাউন চলবে।
দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে সোমবার দুপুরে উপজেলা কোভিড-১৯ প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি সভায় এ কথা জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
তিনি জানান,দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধ পথে দেশে মানুষ আসছে। ওই এলাকায় অনেকগুলো চুল প্রক্রিয়াজাতকরণ প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তারা বিভিন্ন সময় ভারতে অবৈধভাবে যাতায়াত করেন। আর এই কারণেই ওই এলাকায় করোনা সংক্রমণ বেড়েছে।
তাই আগামীকাল থেকে ১৪ দিন দামুড়হুদা উপজেলা পুরোপুরি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। লকডাউন এলাকা নিয়মিত তদারকি করবে প্রশাসন। জনসচেতনতার পাশাপাশি বিতরণ করা হবে মাস্ক।
জেলা প্রশাসক আরও জানান, লকডাউন এলাকায় জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। ওষুধের দোকান ছাড়া বন্ধ থাকবে সব ধরনের দোকান। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে কাঁচা বাজার। এ ছাড়া সংক্রমিত এলাকায় অস্থায়ী মেডিক্যাল ক্যাম্প বসিয়ে নমুনা পরীক্ষা করবে স্বাস্থ্য বিভাগ। করোনা আক্রান্তের বাড়ি লকডাউনের পাশাপাশি তাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা দেবে প্রশাসন। খাদ্য সহায়তা পাবেন শ্রমিক ও দিনমজুররা।
দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে করোনা প্রতিরোধ সংক্রান্ত জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু।
এ ছাড়া সভায় সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোহাম্মদ জামাল, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নে গত ২ জুন সাতটি গ্রাম ও নাটুদহ ইউনিয়নের দুটি এলাকা লকডাউন করে প্রশাসন। পরে ৬ জুন কুড়ুলগাছী ও পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের আরও ৯টি গ্রাম লকডাউন করা হয়।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার ২৭৯ জন। মারা গেছেন ৭১ জন। নতুন আক্রান্ত ৫৭ জনের মধ্যে ৩৫ জনই দামুড়হুদা উপজেলার।