দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৩ হাজার ৫০ জনের শরীরে। আক্রান্তদের মধ্যে এই সময়ে মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এই নিয়ে দেশে মোট শনাক্ত দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার ৬০২ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ১৭২ জনের।
এর আগে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল গত ৯ মে। ওই দিন ৫৬ জনের মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এর আগে এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছিল ২৬ এপ্রিল। সেদিন ৩ হাজার ৩০৬ জনে শরীরে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরর।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫১২টি ল্যাবে ২০হাজার ৬০২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৮০ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৫৬৪ জন। মোট সুস্থের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩০ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩ শতাংশ।
গত একদিনে মৃতদের মধ্যে ৩৯ জন পুরুষ এবং ১৫ নারী। তাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।
বাকিদের বয়স বিশোর্ধ্ব এক, ত্রিশোর্ধ্ব পাঁচ, চল্লিশোর্ধ্ব ছয়, পঞ্চাশোর্ধ্ব ১৪, ষাটোর্ধ্ব ২৭ জন।
বিভাগ অনুযায়ী চট্টগ্রাম বিভাগে সর্বোচ্চ ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ১৩ জন করে মৃত্যু নিয়ে এরপরই রয়েছে ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগ। এ ছাড়া খুলনা বিভাগে ৭, বরিশালে ১, রংপুরে ৫, ময়মনসিংহে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।