উপহার হিসেবে দেয়া করোনাভাইরাস প্রতিরোধী চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোফার্ম ও ফাইজার টিকা আগামী সপ্তাহে প্রথম ডোজ হিসেবে দেয়া শুরু করবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সাংবাদিকের করা এক প্রশ্নের জবাবে সোমবার দুপুরে তিনি এসব কথা জানান।
চীন থেকে দুই দফায় উপহার হিসেবে দেশে ১১ লাখ ডোজ ও ফাইজার থেকে এক লাখ ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে।
আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘প্রথম ডোজ টিকা পাওয়ার জন্য যারা নিবন্ধন করেছেন তাদেরই ফাইজারের টিকা দেয়া হবে। তাপমাত্রা জটিলতার কারণে এই টিকা ঢাকা মহানগরীর কিছু হাসপাতালে দেয়া হবে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, প্রাথমিকভাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ফাইজারের টিকা দেয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
সিনোফার্ম টিকা কাদের দেয়া হবে এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘সাধারণত মেডিক্যাল শিক্ষার্থীদের সিনোফার্মার টিকা দেয়া শুরু হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে সারা দেশে সরকারি ৩৭টি মেডিক্যাল শিক্ষার্থীর ওই টিকা দেয়া শুরু হবে।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার জন্য কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চীনের টিকা দেয়া হবে।
দেশে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে গণটিকা শুরু করে ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে আসা টিকা দিয়ে। অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত এই টিকা কেনার চুক্তি হয়েছিল ৩ কোটি ৪০ লাখ। তবে রপ্তানিতে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারণে ৭০ লাখ দেয়ার পর সিরাম আর টিকা দিতে পারেনি।
এর বাইরে ভারত সরকার উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ টিকা দিয়েছে।
এ অবস্থায় অন্য দেশ থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। ফাইজার ও চীন থেকে কিছু টিকা পাওয়া গেছে, তবে তা চাহিদার তুলনায় একেবারেই কম।
সিরামের টিকা বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মহাপরিচালক আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, ‘সিরামের তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে যাদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে, তাদের দ্বিতীয় ডোজ একই টিকা দিয়েই দেয়া হবে।
‘ইতিমধ্যে বাংলাদেশে একাধিক টিকা ব্যবহারের জরুরি অনুমোদন দিয়েছে সরকার। আমেরিকা ১০ লাখ সিরামের টিকা দিতে চেয়েছে। এটা আসলেই যারা প্রথম ডোজে সিরামের টিকা নিয়েছেন, তাদের দ্বিতীয় ডোজটি দেয়া হবে।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা পেতে আলোচনা করছি। সেটা আসলেই আমরা প্রথম ডোজ পূর্ণাঙ্গভাবে টিকা দেয়া শুরু করতে পারব।’