ন্যায্যতার ভিত্তিতে বিশ্বের সব দেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকা নিশ্চিতের প্ল্যাটফর্ম কোভ্যাক্সের কাছে দেশীয় আবহাওয়া উপযোগী টিকা চাওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রোববার অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের ৮০ শতাংশ মানুষের টিকা নিশ্চিতে চীন, রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এমনকি কোভ্যাক্সের মাধ্যমে যে টিকা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাদের আমরা বারবার জানিয়েছি বাংলাদেশের আবহাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেটি আমাদের ইপিআরে রাখা যাবে এমন টিকা আমাদেরকে দেয়া হয়। এটি আমরা সহজেই মানুষের মধ্যে প্রয়োগ করতে পারি; দেশের জনগণকে দিতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকার ১ লাখ ৬২০ ডোজ টিকা যেটি আমরা পেয়েছি, এটা এখনই আমরা প্রয়োগ শুরু করতে পারছি না। ডাইলুয়েন্ট নামের মিশ্রণ মেশাতে হবে। সেই মিশ্রণ গত সোমবার রাতে আসার কথা থাকলেও আসেনি।
‘ডাইলুয়েন্ট মিশ্রণ ছাড়া ফাইজারের টিকা প্রয়োগ করা যায় না। এটার জন্য যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেটি দেশে আসলে ফাইজারের টিকা কত তারিখ থেকে দেয়া হবে এটা জানানো হবে।’
উপহার হিসেবে দেয়া সিনোফার্মের করোনা প্রতিরোধী আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা এখন দেশের পথে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি সি ১৩০ পরিবহন বিমান চীনের টিকা আনতে গেছে। বিকেল সাড়ে ৫টায় টিকা নিয়ে দেশে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে আমরা আশা করছি সবকিছু ঠিক থাকলে এই টিকা আজই দেশে আসছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশে এই মুহূর্তে ৪০ থেকে ৫০ হাজার পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু পরীক্ষা করবার জন্য জনগণের উপস্থিতি গুরুত্বপূর্ণ...যদি করোনা পরীক্ষার জন্য উপস্থিতি সংখ্যা বাড়ে তাহলে আমরা পরীক্ষা বাড়তে পারব।’
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার চরম সংকটের মধ্যে বাংলাদেশকে ১০ লাখ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিচ্ছে ওয়াশিংটন। এই টিকা কবে দেশে আসছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি টিকা পাওয়ার সুসংবাদটি যখন আমরা পেয়ে যাব, আপনাদের মাধ্যমে আমরা দেশবাসীকে জানিয়ে দিতে পারব।
‘অক্সফোর্ডের টিকা বাংলাদেশের আরও অন্তত ১৪ লাখ লাগবে। কারণ যাদের সিরামের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছিল টিকার অভাবে তাদের সবাইকে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায়নি।’