দেশের সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নমুনা সংগ্রহও। এসব এলাকার বিভিন্ন ল্যাবে স্তূপ হয়ে আছে করোনা পরীক্ষার জন্য নেয়া নমুনা।
এমন পরিস্থিতিতে করোনা পরীক্ষার ফল দ্রুত পেতে সীমান্তবর্তী জেলার পাশের এলাকাগুলোর ল্যাবে নমুনা পাঠানোর নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে রোববার অনলাইন স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র নাজমুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহীতে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ল্যাবে জমে যাচ্ছে নমুনা। এসব নমুনা নওগাঁ ও নাটোরে পাঠানো হচ্ছে। একই চিত্র আরও অনেক জেলার।
নমুনা পরীক্ষার বিষয়টি নতুন করে সমন্বয়ের পরিকল্পনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘রাজশাহী জেলাসহ যেসব এলাকায় সংক্রমণ বেশি, সেসব এলাকার করোনা নমুনা যেসব এলাকায় চাপ কম, সেখানে পাঠিয়ে দিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
‘রাজশাহীর পাশাপাশি বগুড়াতেও কিছু নমুনা পাঠানো হবে। এ ছাড়া যেখানে চাপ কম আছে, সেখানে এই নমুনা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে। আমরা চাই দ্রুত সময়ের মধ্যে নমুনা পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে।’
তিনি বলেন, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁসহ দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তবর্তী জেলাগুলোয় সংক্রমণের হার অনেক বেশি। যে কারণে সরকারি উদ্যোগে বিধিনিষেধ চলমান রয়েছে। তাই এ অঞ্চলগুলোতে অ্যান্টিজেন টেস্ট বাড়ানো হয়েছে। এমনকি করোনা পরীক্ষা জন্য যে ১০০ টাকা নেয়া হতো, সেটাও নেয়া হচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সীমান্তবর্তী এলাকাকে তিন ভাগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করেছে। ১০ শতাংশের বেশি সংক্রমণের হার থাকা জেলাগুলোকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আর ৫-৯ শতাংশ হার থাকা জেলাগুলোকে মাঝারি ঝুঁকিপূর্ণ ও ৫ শতাংশের নিচের জেলাকে স্বল্প ঝুঁকির অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।