বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিকা আনতে চীন গেল ২ উড়োজাহাজ

  •    
  • ১২ জুন, ২০২১ ২০:১৩

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসান বলেন, বিমানবাহিনীর দুটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান চীন থেকে টিকা আনার জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় চায়না থেকে বিমান দুটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত টিকা বিবিআইবিপি-করভির উপহারের আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা আনতে চীনে রওনা হয়েছে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর দুটি উড়োজাহাজ।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক তৌহিদ-উল-আহসান নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, বিমানবাহিনীর দুটি সি ১৩০ জে পরিবহন বিমান চীন থেকে টিকা আনার জন্য সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেছে। রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় চায়না থেকে বিমান দুটির দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

একই তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।

এর আগে গত ১২ মে দেশে পাঁচ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার হিসেবে পাঠায় চীন। সেখান থেকে ইতোমধ্যে ঢাকার চারটি সরকারি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রথম ডোজ দেয়া হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে এই টিকা দেয়ার কথা রয়েছে সারা দেশের সরকারি ৩৭টি মেডিক্যাল কলেজের শিক্ষার্থীদের। করোনা মোকাবিলায় সামনের সারিতে থাকা পুলিশ সদস্যদেরও দেয়া হবে এই টিকা।

উপহারের দ্বিতীয় কিস্তির টিকা বাংলাদেশে পৌঁছানোর জন্য সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সেরে রেখেছে চীন। এ বিষয়ে শুক্রবার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ-রাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান। টিকা পরিবহন ও মজুতের তিনটি ছবি পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘৬ লাখ টিকা প্রস্তুত। ১৩ জুন তা বাংলাদেশে পৌঁছাবে।’

উপহারের বাইরে চীনের সিনোফার্মের টিকা কেনার আলোচনাও চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জানান, টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে ক্রয় চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। তবে বিস্তারিত কিছু জানাতে রাজি হননি তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এর আগে ভ্যাকসিনের দাম প্রকাশ হওয়ায় আমাদের সমস্যা হয়েছে। এ জন্য চুক্তি অনুযায়ী কঠোর গোপনীয়তা বজায় রাখতে হবে।’

বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টিকা। পরে জানানো হয় আরও বেশি আসবে। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি মাসের প্রথম দিন কোভ্যাক্স থেকে মাত্র ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছে দেশে। কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আরও ১০ লাখ ডোজ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

টিকা স্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে। এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টিকা কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর