বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

যশোরে করোনা আক্রান্ত ও উপসর্গে মৃত্যু ৩

  •    
  • ১২ জুন, ২০২১ ১৪:৪৯

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। যা নির্ধারিত শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ। বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছে ৪২ জন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে তিনজন মারা গেছেন।

গত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তারা হলেন যশোর শার্শা উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার রফিউদ্দিন, যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার সুমি (১৪) ও ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর এলাকার মকছেদুল ইসলাম।

রফিউদ্দিন ও সুমি গত ১০ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে রফিউদ্দিন শনিবার ভোররাতে ও সুমি সকাল ৮টার দিকে মারা যান।

অপরদিকে, মকছেদুল ইসলাম করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা আরিফ আহমেদ বলেন, ‘রফিউদ্দিন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের রেড জোনে ও সুমি ইয়েলো জোনে ভর্তি ছিলেন। ভোর ও সকালে তারা দুজন মারা যান। এছাড়া জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরেক রোগী আজ সকালে ইয়েলো জোনে ভর্তির পর মারা যান।’

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আখতারুজ্জামান বলেন, মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

শনাক্তের হার উদ্বেগজনক

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের হার ২৭ শতাংশ। এছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৬৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

এদিকে, করোনা সংক্রমণ রোধে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।

গত ১৬দিন ধরে যশোরের করোনা শনাক্তের হার উদ্বেগজনক।

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আখতারুজ্জামান জানান, রোগী ভর্তির চাপ বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। যা নির্ধারিত শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণ। বর্তমানে করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছে ৪২ জন।

যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান জানান, নমুনা সংগ্রহের হার কম থাকায় শনাক্তের হার কম। তবে শনাক্তের হার এখনও উদ্বেগজনক। যে কারণে করোনা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে প্রশাসন।

স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮টি মামলা দিয়ে জরিমানাও আদায় করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর