বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকা আসতে প্রস্তুত চীনের আরও টিকা

  •    
  • ১১ জুন, ২০২১ ১১:১৮

ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান শুক্রবার সকালে টিকা পরিবহন ও মজুতের তিনটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘৬ লাখ টিকা প্রস্তুত। ১৩ জুন তা বাংলাদেশে পৌঁছাবে।’

উপহার হিসেবে বাংলাদেশে সিনোফার্মের করোনা প্রতিরোধী আরও ৬ লাখ ডোজ টিকা পাঠানোর প্রক্রিয়া শেষ করে এনেছে চীন। আগামী রোববার ঢাকায় পৌঁছাবে।

উপহারের দ্বিতীয় কিস্তির টিকা নিয়ে এসব তথ্য জানিয়ে শুক্রবার সকালে নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট দিয়েছেন ঢাকায় চীনা দূতাবাসের উপ রাষ্ট্রদূত হ্যালং ইয়ান। টিকা পরিবহন ও মজুতের তিনটি ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘৬ লাখ টিকা প্রস্তুত। ১৩ জুন তা বাংলাদেশে পৌঁছাবে।’

এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘১৩ তারিখে ৬ লাখ ভ্যাকসিন আসবে। আমরা এখান থেকে দুটি সি-১৩০ বিমান পাঠাচ্ছি। ওরা ওই দিনই গিয়ে নিয়ে আসবে।’

আবদুল মোমেনকে গত ২১ মে টেলিফোন করে এই টিকা দেয়ার ঘোষণা দেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

উপহার হিসেবে এর আগেও ৫ লাখ ডোজ টিকা বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছিল চীন, যা ১২ মে বাংলাদেশে এসে পৌঁছায়। সব ডোজই চীনের সিনোফার্ম উদ্ভাবিত বিবিআইবিপি-করভি টিকার।

ওই দিন চীনা দূতাবাসের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ৫ লাখ টিকা আসার ৯ দিনের মাথায় নতুন করে উপহারের ঘোষণাকে দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, ‘এতে প্রমাণিত হয় চীন বাংলাদেশের সঙ্গে তার বন্ধুত্বের সম্পর্কে কতটা গুরুত্ব দেয়।’

আগের ৫ লাখ মিলিয়ে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে মোট ১১ লাখ ডোজ টিকা দিচ্ছে চীন।

৬ লাখ ডোজ টিকা উপহারের ঘোষণা দিয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই মোমেনকে বলেছিলেন, ‘চীন বাংলাদেশের এ মহামারির সর্বশেষ পরিস্থিতির দিকে গভীর নজর রাখছে। মহামারির বিরুদ্ধে বাংলাদেশের লড়াইয়ের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চীন বাংলাদেশি বন্ধুদের ভ্যাকসিনের জরুরি প্রয়োজন সম্পর্কে উদ্বিগ্ন।’

বাংলাদেশ প্রথমে করোনার অক্সফোর্ড উদ্ভাবিত টিকা ব্যবহারের পক্ষে ছিল। এ জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে ৩ কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তিও করে। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ করে। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত।

ন্যায্যতার ভিত্তিতে টিকা বিতরণে গড়ে ওঠা জোট কোভ্যাক্স থেকেও আসার কথা ছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টিকা। পরে জানানো হয় আরও বেশি আসবে। কিন্তু সেখান থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। চলতি মাসের প্রথম দিন কোভ্যাক্স থেকে মাত্র ১ লাখ ৬২০ ডোজ ফাইজারের টিকা এসেছে দেশে।

এই পরিস্থিতিতে টিকাস্বল্পতায় বাংলাদেশে টিকাদান কর্মসূচিই বন্ধ হয়ে যেতে চলেছে।

এমন অবস্থায় টিকার বিকল্প উৎস হিসেবে চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে চীন থেকে ৪ থেকে ৫ কোটি টিকা কেনার চেষ্টা চলছে। পাশাপাশি দুটি দেশের টিকা দেশে উৎপাদনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর