রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে এক দিনে আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টার মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। রামেক হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে এক দিনে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ৪ জুন হাসপাতালটির করোনা ইউনিটে সর্বোচ্চ ১৬ জন মারা যান।
রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক সাইফুল ফেরদৌস জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে সাতজন করোনা-আক্রান্ত ছিলেন। এ ছাড়া উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন আটজন।
গত ২৪ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ১৮ দিনে হাসপাতালটির করোনা ইউনিট ও আইসিউতে মারা গেলেন ১৫৭ জন।
সাইফুল ফেরদৌস জানান, বৃহস্পতিবার রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দুটি ল্যাবে রাজশাহীর ৩৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে ১৪৩ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
- আরও পড়ুন: রাজশাহী সাত দিন অবরুদ্ধ
এ দিন রাজশাহীর দুটি ল্যাবে মোট ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। এর মধ্যে করোনা পজেটিভ এসেছে ২৩৭ জনের।
তিনি আরও জানান, রাজশাহী জেলার ৩৭৩ নমুনা পরীক্ষা করে ১৪৩ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এ ছাড়া নাটোরের ৭৩ নমুনায় ৪৪ জন, নওগাঁর ৪২ নমুনায় ২১ জন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৭৪ নমুনা পরীক্ষায় ২৯ জনের করোনা পজেটিভ এসেছে।
এদিকে, করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে সাত দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী সার্কিট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়।
পরে এ বিষয়ে জানান রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর। তিনি জানান, জেলায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ও মৃত্যুহার বিশ্লেষণ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই লকডাউনে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে রাজশাহীতে বন্ধ থাকবে ট্রেন চলাচলও।