বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়ে সচেতন না হলে বড় বিপর্যয়: ডিএসসিসি

  •    
  • ১০ জুন, ২০২১ ১৯:৫২

‘সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ছত্রাক পর্যায়ক্রমে গুজরাট, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এই ছত্রাক শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু দেশের সর্বত্র এই ছত্রাকের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে আমাদের সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আমাদের অবহেলা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’

ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় সচেতনতা জরুরি, তা না হলে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে হুঁশিয়ার করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বনলতা ও ইসলামবাগ কাঁচা বাজারের জন্য গঠিত টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্যরা।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় ও গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন (গেইন) বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় ‘কাঁচা বাজারে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ এবং বাজারে কোভিড-১৯ এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মোকাবিলায় করণীয়’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের শীতলক্ষ্যা হলে ডিএসসিসি বনলতা ও ইসলামবাগ কাঁচা বাজারে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে গঠিত টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের তৃতীয় সভা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস কোনো সংক্রামক ব্যাধি নয়। চলমান অতিমারির এই সময়ে যারা কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত, এই ছত্রাক তাদের জীবনকে অতিমাত্রায় ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে এবং অনেক সময় জীবনহানির কারণও হতে পারে। কিন্তু কোভিড-১৯ প্রতিরোধে প্রযোজ্য স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার মাধ্যমে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বহুলাংশে এড়ানো যায়। তাই ব্লাক ফাঙ্গাস নিয়ে আমাদের সচেতনতা সৃষ্টি খুবই জরুরি। না হলে করোনা মহামারির সাথে সাথে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসও বড় বিপদ হয়ে দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

বক্তারা আরও বলেন, ‘সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে প্রথম শনাক্ত হওয়া এই ছত্রাক পর্যায়ক্রমে গুজরাট, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গসহ পুরো ভারতে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এই ছত্রাক শনাক্ত হয়েছে। কিন্তু দেশের সর্বত্র এই ছত্রাকের ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে আমাদের সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। আমাদের অবহেলা মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।’

বক্তারা বলেন, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের খাদ্য শঙ্খলকে নিরাপদ ও পুষ্টিকর করতে হবে। সেজন্য কাঁচা বাজারগুলোকে যেমন স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তেমনি খাদ্যসংগ্রহ প্রক্রিয়ায় ভেজাল দুরীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে।’

সভায় খাদ্যশৃঙ্খল নিরাপদ করা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের মতো নতুন নতুন সংক্রমণ মোকাবিলা করতে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন।

সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ বলেন, ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি অত্যাধুনিক ল্যাব আছে। আমাদের খাদ্য সংগ্রহকারীরা বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। সেগুলো ল্যাব পরীক্ষায় ভেজাল হিসেবে চিহ্নিত হলে তা আমাদের নগর ভবনের বিশেষ খাদ্য আদালতে আমরা মামলা করছি এবং সেখান থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।’

‘গেইন বাংলাদেশ ইট সেইফ প্রকল্পের মাধ্যমে দক্ষিণ সিটির ইসলামবাগ ও বনলতা কাঁচা বাজারে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একযোগে কাজ করে চলেছে।’

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে এবং ইট সেইফ প্রকল্পের পরিচালক মো. শাখাওয়াত হোসাইনের সঞ্চলনায় ঢাদসিক-এর অঞ্চল-৩-এর আঞ্চলিক নির্বাহী পরিচালক মো. বাবর আলী মীর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ফিশারিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান, ঢাদসিক-এর ধাঁধাঁ ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফেরদৌস আলম, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রতিনিধি এবং ভোক্তা প্রতিনিধিগণ সভায় তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

এ বিভাগের আরো খবর