ভারত সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের চিকিৎসা সেখানেই করার পরামর্শ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ।
ওইসব এলাকা থেকে রোগী ঢাকায় আসা ঠেকানোর তাগিদ দিয়ে তিনি বলেছেন, এটা করা না গেলে করোনার ভারতীয় ধরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে।
করোনার ভারতীয় ধরন এরই মধ্যে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয় প্রশাসন এলাকাভিত্তিক চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করলেও অন্যান্য জেলার সঙ্গে যাতায়াত বন্ধ করা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির এ ব্লক মিলনায়তনে করোনার চিকিৎসায় ডাক্তারদের জন্য আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এই পরামর্শ দেন।
উপাচার্য বলেন, ‘ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের কারণে সীমান্ত এলাকায় সংক্রমণ বেড়েছে। এই সংক্রমণ যাতে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রতিরোধে সীমান্তের করোনা রোগীগুলোকে সেখানেই চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে।
‘ওইসব এলাকায় করোনা-আক্রান্ত রোগীরা ঢাকামুখী না হন, সে জন্য সেখানকার হাসপাতালগুলোতেই প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীসহ জনবল নিশ্চিত করতে হবে এবং চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, অক্সিজেন ও হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা ইত্যাদি সরবরাহ করতে হবে। রোগীদের আপনজন মনে করে আপনজনের মতোই সম্বোধন করে তাদের সেবা দিতে হবে।’
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যে ভারতে ছড়িয়ে পড়া একটি বিশেষ ধরন উদ্বেগ তৈরি করে। এ জন্য ২৬ এপ্রিল থেকে বন্ধ করে দেয়া হয় সীমান্ত। তবে অবৈধ পথে মানুষের যাত্রা ঠেকানো যায়নি। এ ছাড়াও নানাভাবে দেশে এরই মধ্যে ঢুকে পড়েছে ভাইরাসটি। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী, যশোরে ব্যাপকভাবে করোনার ভারতীয় ধরন ছড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালের উপাচার্য বলেন, সীমান্ত এলাকায় রোগীদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে চিকিৎসকদের উন্নত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ভার্চুয়ালি এই প্রশিক্ষণ দেবে বলে জানান তিনি।
এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অর্জিত জ্ঞান অন্য চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শও দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) এ কে এম মোশাররফ হোসেন, প্রক্টর হাবিবুর রহমান দুলাল, ইন্টারনাল মেডিসিনি বিভাগের চেয়ারম্যান সোহেল মাহমুদ আরাফাত, উপ-রেজিস্ট্রার রসুল আমিনসহ শিক্ষক ও চিকিৎসকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।