যাদের কাছে টিকা আছে, তারা সবাই বলে দেবে। কিন্তু কখন দেবে, সে বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ ওষুধ উৎপাদনকারীদের পক্ষ থেকে ১৪ হাজার কেজি জীবন রক্ষাকারী ওষুধ অনুদান হিসেবে ফিলিস্তিনকে দেয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে বলে আসছেন, টিকা যেন সর্বজনীন পণ্য হয় এবং সব দেশের লোকের বৈষম্যহীনভাবে পাওয়া উচিত।
‘এ বিষয়ে আমরা জোরালো বক্তব্য দিয়েছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মোট টিকার ৯৯.৭ শতাংশ আছে ধনী দেশের কাছে। মাত্র ০.৩ শতাংশ গরিব দেশগুলোর কাছে। এ জন্য হাহাকার এবং কেউ পাচ্ছে না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে একটি রিপোর্ট আছে, অস্ট্রেলিয়ার মোট লোকসংখ্যা হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন। তারা টিকা সংগ্রহ করেছে ৯৩.৮ মিলিয়ন। আমরা তাদের কাছে চেয়েছি। তাদের টিকা দেয়ার জন্য বলেছি। তারা বলেছে দেবে। সবাই বলে দেবে, কিন্তু হাতে আসছে না।’
যুক্তরাষ্ট্র থেকে টিকা আনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে টিকা দেয়ার জন্য অনুরোধ করেছি। আমাদের দেশে প্রায় ১৫ লাখ মানুষ প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা না পেলে তারা দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারছেন না। আমরা জরুরি ভিত্তিতে তাদের কাছে টিকা চেয়েছি।
‘তারা প্রথমে আমাদের টিকা দিতে চায়নি, আমাদের মৃত্যুর হার কম হওয়ায়। তারা প্রথমে করোনার প্রাদুর্ভাব বেশি এবং বেশি মৃত্যু হওয়া দেশগুলোতে প্রথমে ৬০ মিলিয়ন ডোজ এবং পরে আরও ২০ মিলিয়ন, মোট ৮০ মিলিয়ন ডোজ টিকা দিতে চায়। সেখানে বাংলাদেশের নাম ছিল না।
‘পরে আমাদের প্রবাসী ভাইয়েরা এবং আমরা হোয়াইট হাউস ও দেশটির হাই অফিশিয়ালদের রিচ করতে সক্ষম হই। তাদের বলি আমাদের ১৫ মিলিয়ন লোক প্রথম ডোজ নিয়েছে। তাদের দ্বিতীয় ডোজ না দিতে পারলে প্রথম ডোজের কার্যকারিতা নষ্ট হবে।
‘এরপর তারা আমাদের টিকা দিতে রাজি হয়েছে। ১ হাজার ৬৫৪ জন বাংলাদেশি-আমেরিকান হোয়াইট হাউসে একটি পিটিশন করেছেন বাংলাদেশের সমস্যার বিষয়ে। আমেরিকানদের বক্তব্য হলো, বাংলাদেশে এই রোগের প্রভাব কম এবং সে জন্য তারা আমাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না।’
তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, আমাদের টিকা দেবে, তবে কবে দেবে সেটি এখনও বলেনি। তারা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অন্যান্য টিকা কোভ্যাক্সের অধীনে দেবে।’