ঠাকুরগাঁওয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৩০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে, এ সময়ে মারা গেছেন একজন।
নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে করোনা শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। এটি এ বছর একদিনে সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের হার।
যারা নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১২ জন, বালিয়াডাঙ্গীতে ৬ জন, রানীশংকৈলে ৭ জন, পীরগঞ্জে ৩ ও হরিপুরে ২ জন।
ঠাকুরগাঁওয়ে এর আগে ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ছিল ২৫ শতাংশ।
ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন মাহফুজুর রহমান জানান, গত বছরের ১১ এপ্রিল ঠাকুরগাঁওয়ে করোনায় সংক্রমিত প্রথম রোগী শনাক্ত হন। এ পর্যন্ত ১০ হাজার ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এসব নমুনা পরীক্ষায় এক হাজার ৮১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৪০ জন। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
তিনি আরও বলেন, জেলায় করোনা রোগী শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির এক জরুরি সভা হয়। সভায় সংক্রমণ রোধে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া এলাকাগুলোতে সবাইকে বাধ্যতামূলক মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ, নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন, সীমান্তে অবৈধভাবে পারাপার ও জনসমাগম প্রতিরোধকসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
ঠাকুরগাঁওয়ের জেলা প্রশাসক ডা. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি আমাদের ভাবনায় ফেলেছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ অবস্থায় মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই। যারা স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করছেন, তাদের প্রতি কঠোর হতে করোনা প্রতিরোধ কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি আক্রান্তদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চলতি মাসে জেলায় করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু ও শনাক্ত দুটিই বেড়েছে। ৮ দিনে জেলায় ১২৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে চার জনের। এক সপ্তাহে ৪৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সে তুলনায় করোনা শনাক্তের হার ২৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ।