দেশে গত এক দিনে আরও ২ হাজার ৫৩৭ জনের শরীরে করোনভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে, যা গত ৪২ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। আক্রান্তদের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৩৬ জনের।
এক দিনের হিসাবে এর থেকে বেশি রোগী শনাক্ত হয় গত ২৮ এপ্রিল। সেদিন ২ হাজার ৯৫৫ জনের আক্রান্তের খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৮ লাখ ১৭ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১২ হাজার ৯৪৯ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৫১০টি ল্যাবে ২০ হাজার ৫৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১২ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
করোনা থেকে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও দুই হাজার ২৬৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৫৭ হাজার ৫৬০ জন। সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৬৩শতাংশ।
গত একদিনে মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ১৯ জন নারী। তাদের মধ্যে বিশোর্ধ্ব এক, ত্রিশোর্ধ্ব দুই, চল্লিশোর্ধ্ব চার, পঞ্চাশোর্ধ্ব আট ও ষাটোর্ধ্ব ২১ জন।
বিভাগ অনুযায়ী গত একদিনে খুলনা সর্বোচ্চ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে ছয়জন করে, রাজশাহীতে নয়, সিলেটে এক ও রংপুরে চার জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে গত বছরের ৮ মার্চ। ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তথ্য প্রকাশ করা হয়। ২০২০ সালের ৪ জানুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চীনে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাবের কথা ঘোষণা করে।
পরিস্থিতি বিবেচনা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত বছরের ৪ জানুয়ারি থেকেই দেশের বিমানবন্দরসহ সব স্থল ও নৌবন্দরে বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করে। ওই বছরের ৪ মার্চ সমন্বিত করোনা কন্ট্রোল রুম চালু করা হয়।