বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সীমান্তে কঠোর লকডাউন চান বিএসএমএমইউর উপাচার্য

  •    
  • ৯ জুন, ২০২১ ১৬:৩০

বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের পরামর্শ, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য সকল জেলা ও শহরগুলোর সাথে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

করোনার সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে দুই সপ্তাহের কঠোর লকডাউনের সুপারিশ করেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

শাহবাগ চত্বরে বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক উপ-কমিটির উদ্যোগে জনগণের মাঝে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও জনসচেতনামূলক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

শারফুদ্দিন জানান, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো একটি উপজেলায় পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ৫৯ শতাংশ, যা সত্যিই বড় ধরনের উদ্বেগের বিষয়।

তার পরামর্শ, করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট নামে পরিচিত ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ যাতে দেশব্যাপী ছড়িয়ে না পড়ে সে লক্ষ্যে জরুরি ভিত্তিতে দুই সপ্তাহের জন্য সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে কঠোর লকডাউন বাস্তবায়ন করতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সাথে রাজধানী ঢাকাসহ অন্য সকল জেলা ও শহরগুলোর সাথে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখতে হবে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলাগুলোতে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্টসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়ার আহ্বান জানান শারফুদ্দিন।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ, হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলার জোগান নিশ্চিত করাটা খুব জরুরি বলে উল্লেখ করেন শারফুদ্দিন। করোনার কারণে সৃষ্ট এই মহামারির সময়ে অসহায়, গরিব, দুস্থ মানুষের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে অপেক্ষাকৃত বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

করোনা প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে শারফুদ্দিন বলেন, ঘর থেকে বাইরে বের হলে অবশ্যই সবাইকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করা যাবে না। অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন মাস্ক ব্যবহার করলে মিউকরমাইকোসিস, যা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নামে পরিচিত এক ধরনের ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।

মহামারির এই সময়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান শারফুদ্দিন। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য সাধারণ শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি, আইসিইউ বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি, অক্সিজেনের জোগান বৃদ্ধি, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য আইসোলেশন ইউনিট চালুসহ বিভিন্ন উদ্যোগের বিষয়গুলোও তুলে ধরেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর