করোনাভাইরাসের ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড অবরুদ্ধ করেছে প্রশাসন।
পৌরসভার নওয়াপাড়ার নূরবাগ-মনিরামপুর সড়কটি মঙ্গলবার সকালে ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়। চলাচলে বিধিনিষেধ দেয়া হয় ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে।
তবে ব্যস্ততম নূরবাগ-মনিরামপুর সড়ক পূর্বঘোষণা ছাড়াই বন্ধ করে দেয়ায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমিনুর রহমান বলেন, অভয়নগর উপজেলার আটটি ইউনিয়নে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ইউনিয়নগুলোতে করোনা পরিস্থিতি ভালো থাকলেও ওই তিন ওয়ার্ডে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টসহ করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এ কারণে ওই তিনটি ওয়ার্ডে কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
তিনি জানান, পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধ বহাল থাকবে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিতে ওই এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের দুটি দল মাঠে থাকবে।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের করোনা ইউনিটে এখন ১৮ জন করোনা রোগী ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে চারজনের দেহে ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
স্থানীয় সাংবাদিক এস এম আহাদ বলেন, ব্যারিকেড দেয়া নূরবাগ-মনিরামপুর সড়কটি সাতক্ষীরা জেলা এবং যশোরের কেশবপুর ও মনিরামপুর উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন স্থানীয়দের পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার হাজার হাজার মানুষ চলাফেরা করেন।
তিনি বলেন, ওই সড়কের ফুটপাতে রয়েছে বিপুল দোকানপাট। সব মিলিয়ে সড়কটিতে ব্যাপক জনসমাগম থাকে। করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এই সড়কটি ব্যারিকেড দেয়ার প্রয়োজন ছিল।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুর রহমান রিজভী জানান, গত এক বছরে অভয়নগরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬০০। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের।
নয়াপাড়ার পৌর মেয়র ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সুশান্ত কুমার দাস শান্ত জানান, পৌরসভার তিনটি ওয়ার্ড মহাসড়ক, রেল ও নৌবন্দরকেন্দ্রিক হওয়ায় সংক্রমণ বেড়েছে। এ কারণে তিনটি ওয়ার্ডের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনসচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন পয়েন্টে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে।