করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সরকারি চিকিৎসায় দিনে ৫০ হাজার টাকাও ব্যয় হচ্ছে বলে সংসদে উল্লেখ করার পর এ রকম উচ্চ ব্যয়ের কারণ সাংবাদিকদের কাছে ব্যাখ্যা করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে সোমবার কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপওএস) অডিটরিয়ামে এক আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার সময়ে অনেক ধরনের খরচ হয়, যার মধ্যে বাড়তি খরচও হয়। টিকা দেয়া একটি খরচ, চিকিৎসা দেয়া আরেকটি খরচ।’
মন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসার বিষয়ে আমরা বলেছি, নরমাল বেডে রোগীপ্রতি দৈনিক খরচ হয় ১৫ হাজার টাকা, আর আইসিইউতে খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে অনেক দামি ওষুধ থাকে, অনেক সময় রেমডিসিভির দিতে হয়, ভেন্টিলেটর দিতে হয়, হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা লাগে।
‘এ ছাড়াও ডাক্তারদের পিপিই ব্যবহার করতে হয়। দ্বিগুণ জনবল লাগে, অক্সিজেন লাগে। অর্থাৎ চিকিৎসার পিছনে যত ধরনের খরচ হয়, তার সবই সরকার বহন করে। আমাদের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট সবকিছু হিসাব করে এই খরচ বের করেছে।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘করোনা চিকিৎসায় অনেক অক্সিজেন লাগে। একজন নরমাল রোগীর পাঁচ লিটার অক্সিজেন লাগলে আইসিইউতে লাগে ৫০ লিটার।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিট হিসাব করে যা বলেছে, তাই আমরা জানিয়েছি। তারা বলেছে, দৈনিক এসব খরচ সরকারকে দিতে হয়। এটা নিয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনা হয়েছে। সকলেই বলেছেন, স্বাস্থ্যে বরাদ্দ আরও বাড়িয়ে দেয়া প্রয়োজন।’