দীর্ঘ দুই মাস পর ভারতে করোনাভাইরাস সংক্রমণ এক লাখে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে এক লাখ ৬৩৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এর আগে ৫ এপ্রিল দেশটিতে করোনা শনাক্ত এক লাখ ছাড়ায়। এরপর পর্যায়ক্রমে বেড়ে যায় শনাক্তের সংখ্যা। এক সময়ে শনাক্ত ছাড়ায় চার লাখ।
দেশটিতে এখন মোট করোনা শনাক্ত হলো দুই কোটি ৮৯ লাখ ৯ হাজার ৯৭৫ জনের।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই হাজার ৪২৭ জন। ২৩ এপ্রিলের পর প্রথমবারের মতো মৃত্যুর এই সংখ্যা আড়াই হাজারের নিচে নামল।
এখন পর্যন্ত ভারতে করোনায় মারা গেছেন তিন লাখ ৪৯ হাজার ১৮৬ জন।
অবশ্য সংক্রমণ কিছুটা কম হওয়ার কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, নমুনা পরীক্ষা কম হওয়াকে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৪ লাখ। যা দুই সপ্তাহ আগেও ২০ লাখের উপরে ছিল।
২৪ ঘণ্টায় যা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে মনাক্তের হার ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ। আর এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
শুধু নমুনা পরীক্ষা বা শনাক্তের হারই কমেনি। এই সময়ে দেশটিতে টিকাকরণও কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় টিকা দেয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৯০ হাজার ৯১৬ জনকে। এখন পর্যন্ত টিকা দেয়া হয়েছে ২৩ কোটি ২৭ লাখ ৮৬ হাজার ৪৮২ জনকে।
ভারতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হয় চলতি গত মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে। তখন থেকেই করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে মৃত্যু।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময়ে ভারতে দৈনিক চার হাজারের বেশি করে মারা গেছে শুধু করোনায়। এটা সরকারি হিসাব। এর বাইরেও অসংখ্য মানুষ করোনায় মারা গেছে বলে দাবি করেছে বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
এ ছাড়া অক্সিজেন স্বল্পতাতেও বিভিন্ন হাসপাতালে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে মহারাষ্ট্র রাজ্যে। সেখানে এখন পর্যন্ত এক লাখের বেশি মানুষ মারা গেছে।
এর পর আছে কর্ণাটক, রাজ্যটিতে মৃত্যু হয়েছে ৩১ হাজারের বেশি, তামিলনাড়ুতে ২৭ হাজারের বেশি। এ ছাড়া পাশের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গে মারা গেছে ১৬ হাজারের বেশি মানুষ।