বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে জরুরিভিত্তিতে করোনা প্রতিরোধে ৫০ লাখ স্পুতনিক ভি টিকা আমদানি করতে চায় এবং এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগ্নটভের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মোমেন বলেন, অনুমোদন পেলে বাংলাদেশের কয়েকটি কোম্পানি রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে টিকা উৎপাদন করতে পারবে। তিনি রাশিয়া থেকে দ্রুত করোনা টিকা আমদানির ক্ষেত্রে বিদায়ী রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজের গতি এবং মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি কর্মরত রুশ বিশেষজ্ঞ এবং শ্রমিকদের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় রাশিয়ার সহযোগিতার কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন এবং সে সময়ের সহযোগিতার জন্য রাশিয়ার সরকার এবং জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেনের সঙ্গে রোববার রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার আই ইগ্নটভের বিদায়ী সাক্ষাৎ। ছবি: সংগৃহীত
মোমেন বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার অবদান এবং বিভিন্ন মেগা প্রজেক্টে রাশিয়ার উন্নয়ন সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে রাশিয়া সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রুশ রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও রাশিয়ার কাছ থেকে পাওয়া সহযোগিতার জন্য বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান। রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ঢাকায় তার কার্যকাল মেয়াদ শেষ করে ৮ জুন রাশিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।