বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চীনের টিকা আনা নিয়ে ইনসেপ্টার ভূমিকা অস্পষ্ট

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৯:০৯

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, যেকোনো প্রোডাক্ট বাইরে থেকে আমদানি করতে হলে নিবন্ধন বা অনুমোদনের জন্য একটি স্থানীয় এজেন্ট প্রয়োজন হয়। সেই কাজটিই করবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিডেট। সরকার সরাসরি টিকা আনতে পারবে।

চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত করোনাভ্যাক টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে এই টিকা জরুরি অনুমোদন পেতে দেশীয় এজেন্ট হিসেবে আবেদন করা হয়েছে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের পক্ষ থেকে। টিকা আনতে তাদের ভূমিকা এখনও অস্পষ্ট।

ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘চীনের লাইফ সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত করোনাভ্যাক টিকা অনুমোদন পেতে স্থানীয় এজেন্ট ইনসেপ্টা চীনের পক্ষ থেকে আবেদন করেছে। আমরা সবকিছু দেখে জরুরি অনুমোদন দিয়েছি। টিকাটি এখন আমাদের সরকার চীন থেকে আমদানি করতে পারবে। ইনসেপ্টা স্থানীয় সরবারহকারী হিসেবে কাজ করবে। বাজারজাতকরণে কর্তৃত্ব থাকবে চীনের হাতেই।’ইনসেপ্টার ভূমিকার বিষয়টি ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘যেকোনো প্রোডাক্ট বাইরে থেকে আমদানি করতে হলে নিবন্ধন বা অনুমোদনের জন্য একটি স্থানীয় এজেন্ট প্রয়োজন হয়। সেই কাজটিই করবে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিডেট। টিকা সরকারিভাবে নিয়ে আসতে পারবে।’

এর আগে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট থেকে ৩ কোটি ডোজ অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা আনতে গত বছরের ৫ নভেম্বর ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে সরকার।

সরকারের সঙ্গে টিকা আনার সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। চুক্তি অনুযায়ী তারাই টিকা নিয়ে আসে দেশে। পরিবহনের পাশাপাশি দেশে সংরক্ষণের দায়িত্বও তাদের। অর্থও পরিশোধ করবে প্রতিষ্ঠানটি। পরে সরকার বেক্সিমকোকে দেবে টাকা।

বেক্সিমকোকে বাংলাদেশের ডিলার নিযুক্ত করে সিরাম। এরপর তারা মধ্যস্থতা করে বাংলাদেশ সরকারের জন্য চার ডলার করে তিন কোটি টিকা পেতে চুক্তি করে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ করে ছয় মাসে এই তিন কোটি ডোজ টিকা পাবে সরকার।

টিকা দেশে উৎপাদন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রোববার মহাপরিচালক বলেন, ‘ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে দেশে টিকা উৎপাদনের জন্য টিকা উৎপাদক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। সরকারি পর্যায়েও আলোচনা চলছে। এটি সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। সবকিছু ঠিক হলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।’

স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র ও নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ সেন্টারের (এনসিডিসি) পরিচালক মোহাম্মদ রোবেদ আমিন বলেন, ‘চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত করোনাভ্যাক টিকা আজই জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এখন এটি কীভাবে আনা হবে, কোথায় রাখা হবে, এই টিকা স্থানীয় এজেন্টের মাধ্যমে বিতরণ হবে কি না, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনার প্রয়োজন। আলোচনা শেষ হলে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।’

চীনের টিকার ক্ষেত্রে ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিডেটের এজেন্ট হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে অধিদপ্তরের ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্যসচিব ডা. শামসুল হক কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শুধু চীনের পক্ষে থেকে আমরা সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত করোনাভ্যাক টিকা জরুরি অনুমোদন পেতে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছি। এই টিকা আনা থেকে শুরু করে সবকিছুই সরকার করবে।’

কবে কখন এই টিকা আসবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘টিকা আনবে সরকার। এটা সরকার ও চীনের বিষয়। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। স্থানীয় এজেন্ট হিসেবে আমাদের কোনো কাজ নেই।’

ইনসেপটা যে চীনের টিকার অনুমোদন পেতে আবেদন করেছে, সে ক্ষেত্রে কোম্পানিটি কোনো সুবিধা পাবে কি না বা টিকা বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে এই দায় কে নেবে, এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কোম্পানিটির এখানে কোনো লাভ নেই। চীনের সরকার সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারের সরাসারি টিকা নিয়ে চুক্তি হবে। কিছু সমস্যা হলে তারা আলোচনা করে সমাধান করবে।’

কোনো লাভ ছাড়া ইনসেপ্টা কেন চীনের টিকার অনুমোদন পেতে আবেদন করল, এমন প্রশ্নের জাবাবে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিভাগের আরো খবর