বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইটস অলমোস্ট ডান: টিকা নিয়ে রাশিয়ার দূত

  •    
  • ৬ জুন, ২০২১ ১৭:২১

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, টিকা সরবরাহ ও সহ-উৎপাদন নিয়ে এই চুক্তি হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

রাশিয়ান টিকা স্পুৎনিক-৫ আনার জন্য চুক্তি সম্পাদনের কাছাকাছি পৌঁছেছে ঢাকা ও মস্কো।

রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইগনাতভ রোববার দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান।

মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের কার্যালয়ে এটা ছিল রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার ইগনাতভের বিদায়ী সাক্ষাৎকার।

এ সময় টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ইটস অলমোস্ট ডান।’

রাষ্ট্রদূত জানান, টিকা সরবরাহ ও সহ-উৎপাদন নিয়ে এই চুক্তি হবে। এতে কোনো সমস্যা হবে না।

দেশটির সঙ্গে সূত্র গোপন রাখা ও সহ-উৎপাদনের বিষয়টি চূড়ান্ত; এখন ক্রয়নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র।

এর আগে ৩১ মে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুৎনিক-৫ টিকা পাওয়ার বিষয়ে দেশটির সঙ্গে চুক্তি ‘ফাইনাল স্টেজে’ আছে বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সেদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাশিয়ান টিকা নিয়ে যে আলোচনা হয়েছে, সেটারও খুব অগ্রগতি হয়েছে। আলাপ অ্যাগ্রিমেন্ট পর্যায়ে চলে গেছে। আমরা আশা করি, রাশিয়া থেকেও খুব তাড়াতাড়ি টিকা পাব।

‘রাশিয়ার সঙ্গে নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট তৈরি হয়ে গেছে। এখন এটি ফাইনাল স্টেজে আছে। অ্যাগ্রিমেন্ট সই হয়ে গেলে টিকা কেনা বাস্তবায়িত হবে।’

রাশিয়া থেকে জি টু জি পদ্ধতিতে টিকা আসবে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি। তারাও দিয়েছে। এটি সময় লাগবে। টিকা উৎপাদনের বিষয়ে অবকাঠামোগত সুবিধাও নিশ্চিত করতে হবে। রাশিয়া সবকিছু দেখেশুনে সংযোজন ও বিয়োজন করে সিদ্ধান্ত নেবে।’

২৩ এপ্রিল ফর্মুলা গোপন রাখার শর্তে রাশিয়ার টিকা বাংলাদেশে উৎপাদনের জন্য সমঝোতা চুক্তি করে বাংলাদেশ ও রুশ ফেডারেশন। এই সমঝোতা সই রাশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হয়েছে।

এর পাঁচ দিন পর ২৭ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর জানায়, মে মাসের মধ্যেই ৪০ লাখ ডোজ স্পুৎনিক-৫ টিকা পৌঁছাচ্ছে দেশে। সরকার টু সরকার (জি টু জি) চুক্তির মাধ্যমে এই টিকা আনা হচ্ছে বলে জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

রাশিয়াসহ পৃথিবীর সাতটি দেশে এই টিকার ব্যবহার চলছে জানিয়ে মাহবুবুর বলেন, ‘বিশ্ব সংস্থা অনুমোদন না দিলেও এটি মানুষের দেহে প্রয়োগ করতে পারব। জরুরি প্রয়োগে আমরা অনুমোদন দিয়েছি।’

রাশিয়ার টিকা দেশে উৎপাদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে কথাবার্তা চলছে। টিকা তৈরির সক্ষমতা আমাদের রয়েছে। তিনটি ওষুধ প্রস্তুতকরণ কোম্পানির টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা আছে। এগুলো হলো ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, হেলথ কেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ও পুপলার ফার্মাসিউটিক্যালস।’

বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ভারত নিজস্ব চাহিদার কথা বিবেচনা করে সিরাম ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত অক্সফোর্ডের টিকার রপ্তানি গত ২৪ মার্চ স্থগিত করে।

কোভ্যাক্সের আওতায় ১৮০টি দেশও সিরাম উৎপাদিত টিকা পাবে। কিন্তু রপ্তানি স্থগিত হওয়ায় এসব দেশও টিকা পাচ্ছে না। ফলে সিরামের কাছ থেকে টিকার নতুন চালান পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এই সংকট কাটাতে টিকার বিকল্প উৎস খুঁজছে বাংলাদেশ। এর অংশ হিসেবে রাশিয়ার পাশাপাশি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর