চলমান লকডাউন বা বিধিনিষেধ আরও এক দফা বাড়াতে পারে সরকার। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ এখনও কাঙ্ক্ষিত নিয়ন্ত্রণে না আসায় এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জানা যায়, অনুমোদন মিললেই রোববার দুপুরে জারি হতে পারে প্রজ্ঞাপন।
চলমান বিধিনিষেধের মেয়াদ গত রোববার ৬ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। আজ শেষ হচ্ছে তার মেয়াদ।
সেই প্রজ্ঞাপনে নতুন করে কোনো শর্ত আরোপ করা হয়নি। শুধু অফিস-আদালত এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। বাকি সব কিছু শর্ত সাপেক্ষে চলমান আছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চলমান বিধিনিষেধ আরও এক দফা বাড়ানো হচ্ছে। তবে এবার সময়টা একটু বাড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু আগের নিয়মেই থাকবে। তবে সংক্রমণের ঝুঁকি বিবেচনায় স্থানীয় পর্যায়ে লকডাউন দেয়ার যে ক্ষমতা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে, সেই বিষয়টি প্রজ্ঞাপন উল্লেখ থাকতে পারে।’
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধসহ সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। সেই বিধিনিষেধ আরও দুই দিন বাড়ানো হয়।
সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেয়া হয় কঠোর লকডাউন। এরপর সেটা কয়েক মেয়াদে বাড়িয়েছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় এই বিধিনিষেধ আরও এক দফা বাড়ানো হতে পারে।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লকডাউন অনেকটা শিথিল হয়ে এসেছে। ঈদ ছুটি পর্যন্ত দূরপাল্লার গণপরিবহন বাস, ট্রেন, লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়। তারপর ২৩ মে থেকে আন্তজেলাসহ সব ধরনের গণপরিবহন ধারণ ক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলছে।
হোটেল ও খাবারের দোকানে আসনসংখ্যার অর্ধেক গ্রাহককে সেবা দেয়ার সুযোগ রেখেছে সরকার। জরুরি কাজে নিয়োজিত সরকারের দপ্তরগুলোও খোলা আছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে শিল্প কলকারখানা।
সরকারের বিধিনিষেধ আরোপ থাকলেও মূলত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছাড়া দৃশ্যত আর কোথাও লকডাউন নেই।